জনগণের বাক স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের বাক স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে


আলোকিত বার্তা:একের পর এক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক, ইউএনও-এসিল্যান্ডসহ সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় বিভিন্ন থানায় লাইট মেশিনগান (এলএমজি) পোস্ট বসানো হয়েছে। হামলাসহ যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) ও জেলার সব থানা এবং নারায়ণগঞ্জের সাত থানা ও আটটি ফাঁড়িতে এলএমজি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে।পাশাপাশি পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েকদিন ধরে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কার্যালয়, ভূমি অফিস, থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এমনকি পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের হামলা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বিভিন্ন থানায় ভারি অস্ত্রের পাহারার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাস্যকর নাটক সাজিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে বসানো হয়েছে মেশিনগান পোস্ট। সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি ১৯৭৪ সালে, ২০১৩-১৪-১৫ সালে।

ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় জানাতে চাই, বিএনপি সহিংসতায় বিশ্বাস করে না এবং জনগণের বাক স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।শুক্রবার বিকালে এক ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব।সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত বাইডেন প্রশাসন এই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টাকে সম্পূর্ণ অগ্রাধিকার দিয়ে, গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বের ৪০টি দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা করবে এবং তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে অবশ্যই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা অবশ্যই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগকে সমর্থন করি।মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করি- ৪০টি দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের আলোচনা থেকে একটি পথ বেরিয়ে আসবে, একটা স্ট্র্যাটেজিক পলিসি তৈরি হবে। তাতে আমরা ভবিষ্যতে এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব।

Top