পিটিএ সুবিধা কাজে লাগাতে একমত বাংলাদেশ-ভুটান
আলোকিত বার্তা:যত শিগগিরই সম্ভব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে প্রিপারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ ও ভুটান একমত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আগামী মার্চ মাসে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং করে উভয় দেশের প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করা হবে।বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভুটান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আমরা ৬ ডিসেম্বর পিটিএ সই করেছি। এটি বাংলাদেশের প্রথম পিটিএ সই। বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র ভুটান। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য আমরা পিটিএ সই করেছি।তিনি বলেন, ভুটান থেকে বাংলাদেশ নির্মাণসামগ্রী আমদানি করে। ভুটানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্লাইউড, মিনারেল ওয়াটার, জুস, ওষুধ, শুকনা খাবারসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি পরিবহন চালু হলে উভয় দেশ বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাক্ষরিত পিটিএ-এর সুবিধা নিতে ভুটান সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। আসন্ন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাণিজ্য সহজ ও দ্রুত করতে বাংলাদেশের বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা, সোনাহাট এবং আখাউড়া স্থলবন্দরের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন।তিনি পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে তৃতীয় কোনো পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি বাণিজ্য করার উপর গুরুত্ব দেন।বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক ভুটান প্রয়োজনীয় পাথর সরবরাহ করতে আগ্রহী।তিনি বাংলাদেশ থেকে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিক সার আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভুটানের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সুযোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ভুটানে ৭ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। পিটিএ স্বাক্ষরের ফলে আশা করা হচ্ছে আগামীতে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।