চলমান প্রকল্পে পরে নতুন বিষয় যোগ করতে হয়
আলোকিত বার্তা:যাদের গাফিলতির কারণে প্রকল্প তৈরিতে ক্রটি হচ্ছে, চলমান প্রকল্পে পরে নতুন বিষয় যোগ করতে হয়, যার কারণে ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ে-তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে বুধবার তিনি এ নির্দেশ দেন বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।মন্ত্রী বলেন, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, কেন এত নতুন কার্যক্রম যোগ করতে হচ্ছে এবং ব্যয় ও মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে? কারা প্রকল্পটি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন? তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিন। শুধু তাই নয়, এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটিও জানাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্পটির প্রসঙ্গে আলোচনা হলেও প্রধানমন্ত্রী সার্বিকভাবে সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এ নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে এখন নতুন করে বিভিন্ন কার্যক্রম যোগ করে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। মূল মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এখন সংশোধনীতে তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এমএ মান্নান আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যাতে একজন একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে না থাকেন। সেই সঙ্গে তারা যাতে প্রকল্প এলাকায় থাকেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে কোনো নদীর ওপর সেতু নির্মাণে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। জনগণের প্রয়োজনে যাতে সেতুগুলো তৈরি করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেতু নির্মাণের কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত যাতে না হয়। এছাড়া সেতুগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত না হয়।মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাতে শুধু বড় ঠিকাদাররা কাজ না পান। ছোট ঠিকাদাররাও যাতে কাজ পান সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। কেননা এক ঠিকাদার একাধিক কাজ পেলে প্রকল্প বাস্তবায়নও বাধাগ্রস্ত হয়। এমএ মান্নান আরও জানান, রাজধানীতে পানির অপচয় রোধে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, পানি কোনো অফুরন্ত সম্পদ নয়-এ বিষয়টি বোঝাতে হবে। এজন্য প্রচার চালাতে হবে।ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ জানান, প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে, এখন থেকে আর কোনো সেতু তৈরির প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া নেওয়া যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি তৈরির সময় পূর্ণাঙ্গ স্টাডি করা হয়নি। ফলে পরে বাস্তবায়ন পর্যায় গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।