পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ স্প্যান বসানো হচ্ছে - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ স্প্যান বসানো হচ্ছে


আলোকিত বার্তা:পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ স্প্যান বসানো হচ্ছে।বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সুবিধাজনক সময়ে স্প্যানটি ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে(পিলার)স্থাপন করা হবে।সর্বশেষ স্প্যানটি স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মার দুই পাড় মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যাবে। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সরকার আগামী বছর ডিসেম্বরে সেতুটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সর্বশেষ স্প্যান খুঁটিতে বসানোর কাজটা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এ জন্য আগেই খুঁটির কাছে নিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে আগামীকাল সহজেই স্প্যানটি তোলা যায়। পদ্মা সেতুর সর্বশেষ, অর্থাৎ ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসবে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। মাওয়ার কুমারভোগের নির্মাণমাঠে যেখানে স্প্যান প্রস্তুত করা হয়, সেখান থেকে এটি বসানোর খুঁটি খুব বেশি দূরে নয়। এ জন্য কুয়াশা থাকলেও বড় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।শেষ স্প্যান বসানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদ্‌যাপনের বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিল সেতু বিভাগ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবেই স্প্যান তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।

আগামী শুক্রবার সেতু ভবনে প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানেই তিনি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এর আগে স্প্যান তোলার মুহূর্তটি সেতু ভবন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল সেতুমন্ত্রীর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল করা হয়েছে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানায়।প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, স্প্যান তোলার বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প এলাকায় বেশি মানুষের উপস্থিতি চাইছে না বিদেশি পরামর্শকেরা। পরামর্শক দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও ঠিকাদারদের শীর্ষ প্রকৌশলীরা বেশির ভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ। করোনাকালে তারা প্রকল্প এলাকায় থাকছেন অনেকটা লকডাউনের মধ্যে। প্রকল্প এলাকায় যেসব শ্রমিক কাজ করছেন, তাঁদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কড়াকড়ি আছে বাইরে থেকেও কাউকে প্রবেশেরও। এ জন্য স্প্যান তোলাকে উপলক্ষ করে সব ধরনের জমায়েত ও উপস্থিতি এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন পরামর্শকেরা।

Top