জনগণকে জিম্মি করে সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণকে জিম্মি করে সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে


আলোকিত বার্তা:জনগণকে জিম্মি করে সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, আজ কাদের স্বার্থরক্ষা করছে সরকার? দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম তিন-চারগুণ, পাঁচগুণ হয়ে গেছে। সিন্ডিকেট তৈরি করে তারা সব মুনাফা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন তিনগুণ-চারগুণ বাড়িয়েছেন। কিন্তু কৃষক-শ্রমিকদের কি আয় বেড়েছে? যারা খুদে ব্যবসায়ী, তাদের কি আয় বেড়েছে? এই করোনায় তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। বহু মানুষ আছে যারা দুই বেলা খেতে পায় না। আজ এ অবস্থা তৈরি করেছে সরকার।বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এ সভা হয়।

জিডিপির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের (সরকার) খারাপ লেগেছে আমি জিডিপি সম্পর্কে বলেছিলাম যে, এ নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে সরকার। খারাপ লাগার তো কিছু নেই- দ্যাটস এ রিয়েলিটি। যে কোনো অর্থনীতিবিদের কাছে যাবেন যিনি নিরপেক্ষ, উচ্ছিষ্টভোগী নন, তারা এ নিয়ে বুঝিয়ে বলে দেবেন। যে কোনো কৃষকের কাছে যান, রিকশাচালক-শ্রমিক ভাইয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে, তারা কেমন আছেন? তার কোনো উন্নয়ন হয়েছে? উন্নয়ন হয়েছে ক্ষমতাসীনদের, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিন কথা বলেন। অত্যন্ত সুবেশী মানুষ। চমৎকার একটা ঘরে চমৎকার একটা আসনের মধ্যে বসে খুব সুন্দর করে কথা বলেন। আমি শুনেছি তিনি ছাত্রজীবনে নাটক করতেন। আমিও নাটক করেছি একসময়। উনি সুন্দর করেই বলেন, একটাই বক্তব্য, প্রতিপাদ্য একটাই যে, বিএনপির এই নাই, বিএনপির ওই নাই- এসব। ওনারা বলছেন বিএনপি নাকি সংকটে পড়েছে, বিএনপিতে অন্ধকার। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন- আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়। আপনার মুখে এত আলো কেন বিএনপির? কারণ আপনারা জানেন যে, বিএনপি হচ্ছে একমাত্র দল, যারা গণতন্ত্র আনতে পারে, অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তরিকুল ইসলাম কিশোরকাল থেকেই প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। আগাগোড়া একজন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিশ্বাসী ছিলেন।তিনি বলেন, তরিকুল ইসলাম ঢাকায় চলে আসতেন আগেই। তিনি পথে-প্রান্তরে বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিছিল-মিটিংয়ে যোগ দিতেন। অর্থাৎ জনমুখী বা গণমুখী হতে হলে রাজনীতির কর্মসূচি পালনের মধ্যে যদি আমরা পথে না চলি, পথের সঙ্গে না থাকি, তাহলে পথ খুঁজে পাব না। আজ সেই কারণেই বলব, তরিকুল ইসলামের আদর্শ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

Top