দেশের হিমাগারগুলোতে কী পরিমাণ আলু মজুত আছে
আলোকিত বার্তা:দেশের হিমাগারগুলোতে কী পরিমাণ আলু মজুত আছে,তা জানতে জেলা প্রশাসকদের(ডিসি)চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এই কমিশনের আইন পরিপন্থী মজুত বা কার্টেল করে থাকলে ব্যবস্থা নিতে এই চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ অনুযায়ী,কার্টেল অর্থ‘কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠীর প্রকাশ্য বা প্রচ্ছন্ন চুক্তির মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবার বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য পণ্যের উৎপাদন, পরিবেশন, বিক্রয়, মূল্য বা লেনদেন অথবা কোনো প্রকার সেবা সীমিতকরণ, নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা বা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ করা’।সম্প্রতি আলুর দাম অত্যন্ত চড়া।কৃষকের কাছ থেকে যে দামে আলু কিনে মজুত করা হয়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে তা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। কোনো অবস্থায়ই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।এ অবস্থায় আলুর মজুত জানতে চাইলো কমিশন।
বুধবার(২৮ অক্টোবর)এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন(জ্যেষ্ঠ সচিব)মো.মফিজুল ইসলাম বলেন,দেশের সব ডিসিদের আমরা গতকাল চিঠি দিয়েছি।জেলাগুলোয় যে কোল্ডস্টোরেজ আছে, সেখানে কার কতটুকু আলু মজুত আছে, সেটা জানার জন্য চিঠি দিয়েছি।তিনি বলেন,আমরা দেখবো যে, মজুতের উদ্দেশ্য কী।মজুত করতে পারে, মজুত তো করা লাগবেই, নাহলে পরের মাসে আমরা কী খাবো। কিন্তু সেই মজুত আমাদের আইনবিরোধী কি না, সেটা আমরা দেখবো।কার্টেল হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখবো।প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে তার বড় অংকের অর্থ জরিমানার সুযোগ রয়েছে।