জনপ্রতিনিধি হোক আর সে যেই হোক অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনপ্রতিনিধি হোক আর সে যেই হোক অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না


আলোকিত বার্তা:জনপ্রতিনিধি হোক আর সে যেই হোক অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্টকে মারধরের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, সে যেই হোক। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক। আইনের মুখোমুখী হতেই হবে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। একজন মানুষকে এভাবে মারধর বা হত্যার হুমকি দেয়া যেতে পারে না। তার পরও তিনি একটি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।মন্ত্রী বলেন, অপরাধ অপরাধই। সেটিই দেখার বিষয়। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা সেভাবেই ঘটনাটি দেখব। ইতিমধ্যে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দ্রুত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২৫ অক্টোবর রাতে এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার।এদিকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে।সোমবার (২৬ অক্টোবর) র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছেন।

Top