রোহিঙ্গা কল্যাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৯৩০ কোটি টাকা
আলোকিত বার্তা:রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’র বাস্তবায়ন ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি হচ্ছে। মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।ফলে প্রথম সংশোধনীতে বাড়ছে ৯৩০ কোটি টাকা।জরুরিভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ (ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেন্সপন্স প্রজেক্ট) ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সাল মেয়াদে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারিত ছিল। এখন প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে প্রকল্পের মেয়াদও আড়াই বছর বাড়ছে।বাড়তি সময়-ব্যয় বাড়ার ফলে কক্সবাজারের নতুন ছয়টিসহ মোট আটটি উপজেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া এবং কাজের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে দাবি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি)।প্রকল্পের আওতায় ব্যয় ও সময় বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
প্রকল্পের আওতায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, কালভার্ট, মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সেন্টার, সড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণ হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি, পরিচালন ও মিনি পাইপে পানি সরবরাহ, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ, কমিউনিটি ল্যাট্রিন, রক্ষণাবেক্ষণসহ বায়োগ্যাস ল্যাট্রিন, ওয়াটার অপশন স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণসহ পয়ঃনিষ্কাশন ও কঠিন ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন হবে। এছাড়া বিদ্যমান টয়লেট সংস্কারসহ বাসা-বাড়িতে বায়োফিল টয়লেট স্থাপন করা হবে প্রকল্পের আওতায়।মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩২টি ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য পাইপড এবং নন-পাইপড পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি এ ক্যাম্পগুলোতে ফিক্যাল স্ল্যাজ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।