কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক,বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
আলোকিত বার্তা:কুয়েতের আমির সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত রাজকীয় পরিবার এবং সেদেশের ভাতৃপ্রতীম জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।তারা উল্লেখ করেন, শেখ সাবাহ ছিলেন মুসলিম বিশ্বের স্বার্থরক্ষায় অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ একজন বিশ্বনেতা।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। শেখ সাবাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও কুয়েতের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুয়েতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে কুয়েতের আমিরের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র মৃত্যুতে বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালনের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ-এর ইন্তেকালে আগামী ১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১ (এক) দিনের শোক পালন করা হবে।প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, এ উপলক্ষে আগামী ১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁর আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।প্রসঙ্গত,২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।