বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না
আলোকিত বার্তা:ঢাকার মিরপুর-১১ নম্বর সেক্টরের বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় ২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবারের পুনর্বাসন প্রকল্পে প্লটের দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।রোববার বেলা ১১টায় বাউনিয়াবাঁধ ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি ৯৩টি প্লটের দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহীতাদের মাঝে হস্তান্তর করেন।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপস করেননি।মানুষের খাদ্য-বস্ত্র চিকিৎসাসহ মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি অন্যতম স্বপ্ন। সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এ দলিল হস্তান্তর।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার মধ্যম আয়ের মানুষের পাশাপাশি বস্তি ও ছিন্নমূল পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা শহরে পর্যায়ক্রমে প্রকল্প গ্রহণ করেছে।বাউনিয়াবাঁধের বাস্তুহারা পুনর্বাসন প্রকল্পের বরাদ্দগ্রহীতাদের হাতে জমির বরাদ্দ ও দলিল হস্তান্তর করতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হায়দার।প্রসঙ্গত, ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের গৃহসংস্থান অধিদফতর বা বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মিরপুর-১১ নম্বর বাউনিয়া মৌজার বস্তিবাসী ও ছিন্নমূলদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৯২.৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে।গৃহসংস্থান অধিদফতর, ইউএনডিপি এবং কনসার্ন বাংলাদেশের সহযোগিতায় প্রায় ৩০ একর জমির ওপর বাস্তহারা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের পর বাস্তহারা পুনবার্সন কার্যক্রম মূলত স্থবির হয়ে পড়ে।পরবর্তীতে বর্তমান সরকার বাস্তহারাদের স্থায়ীভাবে জমি বরাদ্দ ও রেজিস্ট্রি দলিল প্রদানের উদ্যোগে ২ হাজার ৬০০ বাস্তহারা পরিবারের মধ্যে ২ হাজার ৫৬৮ পরিবারকে ৯৬ বর্গফুট কোর হাউসসহ ৪৫০ বর্গফুট আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।