ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চলাচল শুরু হলে দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চলাচল শুরু হলে দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে


আলোকিত বার্তা:ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চলাচল শুরু হলে দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হলে পর্যটন শিল্পে আমুল পরিবর্তন আসবে।২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি যথা সময়ে বাস্তবায়িত হলে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকার সাথে কক্সবাজারের সরাসরি রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চলাচল শুরু হলে দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন নতুন রেললাইন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ফাস্ট ট্রাকভূক্ত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজার যাতায়াত খুবই সহজ হবে।এই রেললাইনটি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রেললাইনটি হলেই ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে আসবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে রেলওয়ে অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। নতুন রেললাইন নির্মাণ, নতুন ইঞ্জিন, কোচ ক্রয় করা, ডাবল লাইন নির্মাণ সহ যাত্রীদের সেবা বাড়াতে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেয় হয়েছে।তিনি আরো বলেন, আমরা সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। রেলকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক যে ১০টি মেগা প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ অন্যতম। শুধু রেললাইন নয় কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী এ সময় কক্সবাজারের ঝিলংজা হাজিপাড়ায় রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত চারজন ভূমি-মালিকদের মাঝে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করেন। এ সময় রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শামীম হোসেন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রকল্প ও ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Top