করোনাভাইরাস কীভাবে ছাড়ায়,তা ৩১ দশমিক ২ ভাগ মানুষ জানে না
মোহাম্মাদ.আবুবকর সিদ্দীক:করোনাভাইরাস কীভাবে ছাড়ায়,তা ৩১ দশমিক ২ ভাগ মানুষ জানে না।আর পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার সঠিক নিয়ম জানে না ৩০ ভাগ মানুষ। এছাড়া ভাইরাসটি সম্পর্কে অনেকের মাঝে রয়েছে ভ্রান্ত ধারণা।বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট পরিচালিত কোভিড-১৯ বিষয়ে তিনটি গবেষণা কার্যক্রমের ফল অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। জনসাধারণ, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোভিড-১৯ সম্পর্কে জ্ঞান বা সচেতনতার ব্যাপ্তি, মনোভাব এবং এর প্রয়োগ নিরূপণের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম তিনটি মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত হয়। প্রায় এক হাজার ৫৪৯ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
এর মধ্যে ৭৪ ভাগ উত্তরদাতাই মনে করেন, করোনাভাইরাস মরণব্যাধি। এই ভাইরাস কীভাবে ছাড়ায় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়, সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে তা অনেকে মানেন না। শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অনান্য বিধিনিষেধ মানার প্রবণতা অনেক কম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। বক্তব্য দেন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফয়েজ, অধ্যাপক ডা. শাহ মুনীর, অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান। গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী ও জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহ মাহফুজুর রহমান। ঢাকা মহানগরী ও দেশের উত্তরাঞ্চলের দুটি গ্রামীণ জনপদসহ অনলাইনে এক হাজার ২৪৯ জনের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৯ দশমিক ৮ ভাগ উত্তরদাতা করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, সে সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি ৭০ ভাগ উত্তরদাতা জানেন।