করোনা দুর্যোগের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অফিস উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা দুর্যোগের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অফিস উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে


আলোকিত বার্তা:করোনা দুর্যোগের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অফিস উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।বেতন-ভাতা বন্ধ করা না হলেও যারা নিয়মিত অফিস করেননি তাদের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে একজন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করার প্রক্রিয়া চলছে।
এ নিয়ে মন্ত্রণালয়জুড়ে চাপা ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার দাবি করে গত সপ্তাহে ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাক্ষাৎ করেন। সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখা থেকে আইন শাখা-৩ এর সহকারী সচিব শাহানা আক্তারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয় ২৬ জুলাই।সেখানে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত হাজিরা খাতা যাচাই করে দেখা গেছে, তিনি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এপ্রিল ও মে মাসে হাজিরা খাতায় কোনো স্বাক্ষর করেননি। এছাড়া জুন মাসে চার দিন স্বাক্ষর নেই। এজন্য তার বিরুদ্ধে কর্মচারী আইন অনুযায়ী অসদাচরণের অফিযোগ এনে কেন বিভাগীয় মামলা করা হবে মর্মে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আরও কয়েকটি শাখা থেকে হাজিরা খাতা যাচাই করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে যেসব তারিখে যাদের উপস্থিতির স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি তাদের অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,করোনা দুর্যোগের মধ্যে ইচ্ছা থাকলেও অনেকের পক্ষে নিয়মিত সশরীরে অফিস করা অসম্ভব ছিল। তাছাড়া কর্মকর্তাদের গাড়ির ব্যবস্থা থাকলেও কর্মচারীদের সেটি নেই।বিশেষ করে যদি সন্ধ্যার পরও অফিস করতে হয়, তাহলে একজন সাধারণ কর্মচারী কিভাবে বাসায় ফিরবেন। এসব কারণে অনেকেই নিয়মিত অফিস করতে পারেননি। তাছাড়া করোনা দুর্যোগের কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে অফিস উপস্থিতি শিথিল করা হয়েছে।

প্রয়োজনে রোস্টার করে অফিস চালানোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ে রোস্টার চালু ছিল মাত্র কিছুদিন। বরং সপ্তাহে ৫ দিন অফিস করার বিষয়ে অলিখিতভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। শুধু মাত্র ১৭ জুন থেকে ৩০ জুন রোস্টার ছিল।যে কারণে সাধারণ কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ। তাছাড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের ক্যাশ সরকার আবদুল মোতালেব করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সচিবালয়ে আরও তো মন্ত্রণালয় আছে। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেভাবে অফিস করছেন ভূমি মন্ত্রণালয়েও সেভাবে অফিস করতে দেয়া উচিত। তাছাড়া করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে সবাই এখন স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেছেন।এর ফলে রোববার থেকে আগের মতো অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। কিন্তু বিগত দিনে করোনার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যারা নিয়মিত অফিস করতে পারেননি তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হলে সেটি হবে সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কাজ।

Top