স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের কোনো অস্তিত্ব নেই, সবই অতিরঞ্জিত
আলোকিত বার্তা:স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের কোনো অস্তিত্ব নেই, সবই অতিরঞ্জিত। এমনটাই দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। এদিকে,করোনার চার মাসে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অনয়িমের নানা অভিযোগ উঠে আসলেও মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি হয়েছে মাত্র একটি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন নিষ্ক্রিয়তা দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করবে। অন্যদিকে, দুদক বলছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে দ্রুত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা।করোনাকাল, বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যখাত। চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রির কেনাকাটায় গড়মিলের পর হোটেলে থাকা খাওয়ার বিলে অসঙ্গতির অভিযোগ, জরুরি পরিস্থিতির সুযোগে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটাসহ সবশেষ করোনা পরীক্ষার কিট সঙ্কটে নানা প্রশ্ন।দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু মার্চে। এ সময়ে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এলেও গত ৪ মাসে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করেছে কেবল এন-৯৫ মাস্ক কেনাকাটার। সেই রিপোর্টও দায়সারা।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘মিঠু সিন্ডিকেটের’ মিঠু কোনো ব্যক্তি আমার জানা নেই। সিন্ডিকেট কথাটা যে ব্যবহার হয় তা অতিরঞ্জিত। সিন্ডিকেট আমি তো দেখি না, আমার এখানে নেই। ছোট জায়গায় সিন্ডিকেট করা যায় না।
অভিযোগগুলোর তদন্ত না হওয়াকে দুঃখজনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যারা, তারা কিছু জানেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যখাতে জড়িত অনেককেই দেশে বিদেশে দেখা গেছে।করোনার আগে দুদক স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে, ৬ মাস পর সম্প্রতি ১৪টি প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনাকালীন দুর্নীতি নিয়ে এখন নতুন করে তদন্ত করছে দুদক, সে রিপোর্ট দেয়া হবে শিগগিরই।দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, অনুসন্ধান সবই চলছে। যা আপনারা দেখছেন, আমরা প্রত্যেকটা ইঙ্কোয়ারি করছি। ইনকোয়ারির অর্ডার আছে। এগুলোর রিপোর্ট সহসাই পাব।দুদক নিজেরা তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতি রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি করছে, সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।