কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য দিলেই লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য দিলেই লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে


আলোকিত বার্তা:কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য দিলেই লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শুক্রবার (১৯ জুন) গনমাধ্যমের সাথে আলাপ কালে তিনি এসব কথা বলেন।কুয়েতের জেলহাজতে থাকা পাপুল দেশটিতে ব্যবসা পরিচালনায় সেখানকার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। যার ভিত্তিতে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাপুলের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মূর্তজা মামুনকে। কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তারা পাপুলের বিরুদ্ধে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুদ্রা পাচারের প্রমাণও পেয়েছেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, আমরা এখনো কুয়েতের কাছ থেকে সরকারিভাবে কোন তথ্য পাইনি। পত্রিকায় যে সব তথ্য পেয়েছি, সরকারিভাবে কুয়েতের কাছ থেকে এসব তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই তার বিচার হবে।

কুয়েতের সাংসদের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনা দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দূতাবাসের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেব।কুয়েতের গণমাধ্যমগুলো অন্যদিনের মতো শুক্রবারও পাপুলকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আরব টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, ভিসা বাণিজ্যের নামে নির্বিঘ্নে মানব পাচারের জন্য নগদ ও চেকের মাধ্যমে টাকা দেয়ার পাশাপাশি কুয়েতের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পাপুল। এসব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর তার গড় লাভ ছিল ২০ লাখ দিনার। বাংলাদেশি মুদ্রুায় ৫৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে আরবী দৈনিক আল কাবাসের এক খবরে বলা হয়েছে,তদন্ত কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত কুয়েতের তিন জন সরকারী কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন।এদের মধ্যে দুইজন হচ্ছেন সরকারের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের পরিচালক অন্যজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন কর্ণেল।এদের তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাপুলের দেয়া ঘুষ এরা পদস্থ একজন কর্মকর্তাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর ওই পদস্থ কর্মকর্তা ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে এরা পাপুলকে ভিসা বাণিজ্যে সহায়তা করতেন।

Top