‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’করোনায় পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি হবে - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’করোনায় পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি হবে


আলোকিত বার্তা:করোনা মহামারির দুর্যোগ মুহূর্তে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলে অনুমতি দিয়েছে সরকার।এ অবস্থায় গণপরিবহন বিশেষ করে বাস-লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি না করে জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।শুক্রবার(২৯ মে)এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।তিনি বলেন,দীর্ঘ লকডাউনে কর্ম হারিয়ে নিদারুণ আর্থিক সংকটে থাকা জনগণের ওপর বর্ধিত ভাড়া চাপিয়ে দেয়া হলে‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এ পরিণত হবে।বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন,কোনো সংকট বা অজুহাতে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালে তা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর কোনো নজির নেই।দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ ছুটিতে থাকা সাধারণ মানুষ এখন ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পতিত, তাই অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান হারে ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু রাখতে পারে সেজন্য গণপরিবহন চালুর আগেই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিশ্ববাজারে বহু আগেই তেলের দাম কমেছে। দেশে দীর্ঘদিন ধরে কম মূল্যে জ্বালানি তেল কিনে চড়া দামে বিক্রি করে বেশ মুনাফা অর্জন করেছে বিপিসি। বর্তমানে দেশের রিজার্ভারগুলোতে উপচে পড়া জ্বালানি তেল মজুদের খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।অন্যদিকে, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস-মিনিবাসকে দৈনিক গড়ে ১২০০-১৮০০ টাকা কোথাও ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। প্রতিটি লেগুনা দৈনিক গড়ে ৮০০-১০০০ টাকা চাঁদা দিয়ে চালাতে হয়। এভাবে প্রতিটি গণপরিবহন দৈনিক গড়ে যে পরিমাণ চাঁদা দেয় তা রোধের পাশাপশি সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতায়াত সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়াও লঞ্চ পরিচালনার ক্ষেত্রে একমাত্র উপকরণ জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হলে ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে গড় বোঝাইয়ের অর্ধেক যাত্রী নিয়েও লাভজনকভাবে যাতায়াত সম্ভব।
সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ খালি সিট ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরও প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ১০-১৫টি অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা আছে। এসব বিষয় সংকটকালীন এই মুহূর্তে বিবেচনায় নিলে সড়ক ও নৌ-পথের কোনো পরিবহনে ভাড়া না বাড়িয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী লাভজনকভাবে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতায়াত সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।

Top