সব ধরনের তামাক পণ্য ক্রয়-বিক্রয়,উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সব ধরনের তামাক পণ্য ক্রয়-বিক্রয়,উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ


আলোকিত বার্তা:করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সব তামাক কোম্পানির উৎপাদন,সরবরাহ,বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।মঙ্গলবার(১৯ মে)জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী যুগ্মসচিব মো.খায়রুল আলম শেখ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।চিঠিতে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন,সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র প্রত্যাহার করার কথাও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত:তামাক পণ্য বলতে সব ধরনের সিগারেট,বিড়ি,জর্দা,গুল,তামাক পাতা,তামাক ডাঁটা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়ে থাকে।চিঠিতে বলা হয়েছে,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার কথা বলছে।ধূমপানের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ সংক্রমণ এবং কাশিজনিত রোগ তীব্র হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাধিক গবেষণা পর্যালোচনা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।এছাড়াও গবেষণা দেখা গেছে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ধূমপায়ীর মৃত্যুঝুঁকিও ১৪ গুণ বেশি। কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাময়িকভাবে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, সীসা বার, উন্মুক্তস্থানে পানের পিক ফেলার মতো বিষয়গুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।চিঠিতে আরো বলা হয়,প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ বাস্তবায়ন করছে।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ক্রমবর্ধমান কোডিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।এ পরিস্থিতিতে দেশের তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন,সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র প্রদান করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাস করতে প্রণীত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ -এ সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে বাজার, গণজমায়েত সাময়িকভাবে বন্ধ, দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনার অজুহাতে এ আইন লঙ্ঘন করে চলেছে।
এ কারণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এগিয়ে নিতে সব তামাক কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে এ ব্যাপারে চিঠিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতাও কামনা করা হয়।

Top