প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
আলোকিত বার্তা:প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি। সারাদিন দেশের বেশ কিছু এলাকার তালিকায় একই ফোন নম্বরে একাধিক মানুষের নাম থাকায় যে দুর্নীতির শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিলো তা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।এ প্রসঙ্গে সেলিম মাহমুদ তার ফেসবুক ওয়ালে জানান,সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে অর্থ পাঠিয়েছেন,কয়েকটি জেলায় প্রায় ৫০/৬০টি কিংবা তারও অধিক একাউন্টে একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতি হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেl বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে আমি প্রথমে সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করি।তারা আমাকে জানান যে,আমাদের অনলাইন সিস্টেমেই এই অসঙ্গতি গুলো ধরা পড়েছে।আর ওই সকল অসঙ্গতিপূর্ণ একাউন্টে কোনো টাকা যায়নি।
তারা আরো জানান, এই সকল অসংগতি দূর করে নতুনভাবে তালিকা প্রেরণের জন্য ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সেখানে তিনি আরো লেখেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সাথে টেলিফোনে কথা বলিl তিনি আমাকে বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেন।তিনি জানান, এই ডিজিটাল কর্মসূচিতে একজনের নামে বা একজনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অন্য কারো অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি বলে থাকে যে, কারো কারো মোবাইল ফোন নেই, তাই অন্য কারো মোবাইল নম্বর দেয়া হচ্ছে, আমাদের সিস্টেমে এটি গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেইl সিস্টেম এটি গ্রহণ করবে না। শুধু মোবাইল নম্বর থাকলেই হবে না, তার সাথে ভোটার আইডি কার্ড নাম্বারও থাকতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বর আর ভোটার আইডি নাম্বার ভেরিফাই করে টাকা ছাড় করানো হবেl তাছাড়া, যে ব্যক্তিকে টাকাটা পাঠানো হবে, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী তিনি এটি প্রাপ্য কিনা সেটিও সিস্টেম দেখবেl বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় সকল পরিবারেই ন্যূনতম একটা মোবাইল ফোন রয়েছেl তাই মোবাইল নম্বর নেই- এই অজুহাতে অন্য কারো নাম্বারে টাকা গ্রহণ করা বা পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। যারাই দুর্নীতি করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সরকার প্রধান ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থে আড়াই হাজার টাকা করে ঈদ উপহার হিসেবে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। প্রতি পরিবারে ন্যূনতম চারজন সদস্য ধরলে দেশে মোট উপকার ভোগী মানুষের সংখ্যা দুই কোটি। আর প্রতি পরিবারে সদস্য পাঁচজন ধরলে মোট উপকার ভোগী মানুষের সংখ্যা আড়াই কোটি।