বাংলাদেশে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ


আলোকিত বার্তা:বাংলাদেশে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা সাত রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।শনিবার (৯ মে) গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের কিছু বলার থাকলে কূটনৈতিক রীতি অনুসরন করে আমাদের বলতে পারতেন। যুক্তরাষ্ট্রে আমি বহুদিন ছিলাম। সেখানে কূটনীতিকদের কখনো জোট বেঁধে এ ধরনের আচরন করতে দেখিনি।তিনি বলেন, এটা কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রদূতরা প্রটোকল না মেনে রাজনৈতিক মহড়ায় করছেন, প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন?দায়িত্বশীলতা না থাকলে স্বাধীনতাকে সম্মান করা যায় না’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী কূটনীতিকরা করোনা মহামরীর কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের রফতানি আদেশ বাতিল বা প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্ট সম্পর্কে কিছু বললে খুশি হতাম। আনন্দিত হতাম যদি তারা জোট বেঁধে রাখাইনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা যা করলেন তা হতাশাজনক। এটা মোটেই ভাল না।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার (৭ মে)। সম্প্রতি, মানবাধিকার কর্মী, কার্টুনিস্ট ও ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত বুধবার তাদেরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতেরা টুইটে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা আলাদা করে টুইট করেন।টুইটে তারা বলেন, করোনাভাইরাসের মতো মহামারীর সংক্রমণের সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেন। তাদের মতে, সংকটকালে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে জনগণের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করাটা জরুরি।রাষ্ট্রদূতরা হলেন- মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পেটারসন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ।

Top