সরকারি কর্মচারীদের পেনশন প্রাপ্তি আরো সহজ করা হলো। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মচারীদের পেনশন প্রাপ্তি আরো সহজ করা হলো।


আলোকিত বার্তা:সরকারি কর্মচারীদের পেনশন প্রাপ্তি আরো সহজ করা হলো।এলক্ষ্যে ‘সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০’ আদেশের কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।সংশোধনীটি গত ১৯ মার্চ স্বাক্ষর করা হলেও মঙ্গলবার (৫ মে) তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের ওয়েবসাইটে পরিপত্র আকারে জারি করা হয়।এতে বলা হয়েছে, পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ‘সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০’ জারি করে সরকার চলতি বছর জানুয়ারি মাসে। এতে যেসব তথ্য সংযোজন করা হয় তাতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি বা তাদের পরিবারকে নতুন করে কয়েকটি ধাপ পূরণ করতে হবে।এগুলো হলো, প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র (ইএলপিসি), প্রাপ্তব্য পেনশনের বৈধ উত্তরাধিকারী ঘোষণাপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র ও নন-ম্যারিজ সার্টিফিকেট, পেনশন ফরম ২.১, পারিবারিক পেনশন ফরম ২.২, নমুনা স্বাক্ষর ও হাতের পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ, আনুতোষিক ও অবসর ভাতা উত্তোলন করার জন্য ক্ষমতা অর্পন ও অভিভাবক মনেনয়নের প্রত্যয়নপত্র, না দাবি প্রত্যয়নপত্র। এই ৮টি নতুন সংযোজন পূরণ করলে সহজেই পেনশন তোলা যাবেসংশোধনী পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে এ সব ফরম, সনদ ও কাগজপত্র মুদ্রণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব ফরম, সনদ, কাগজপত্রাদি অর্থ বিভাগের https://mof.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে।পেনশন মঞ্জুরির প্রয়োজনীয় ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি : কর্মচারীর নিজের অবসরগ্রহণের ক্ষেত্রে আনুতোষিক ও অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য ১ থেকে ১০ নং ক্রমিকে উল্লিখিত ফরম, সনদ ও কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে। উক্ত ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদিও ভিত্তিতে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত পেনশন মঞ্জুরির আদেশসহ ১-১০ নং ক্রমিকে উল্লিখিত কাগজপত্র হিসাবরক্ষণ অফিসে দাখিল করতে হবে। হিসাবরক্ষণ অফিস ইহা অতিরিক্ত কোনো ফরম, সনদ ও কাগজপত্র চাইতে পারবে না।

পেনশন আবেদন ফরম, নন-গেজেটেড কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে সার্ভিস বুক/গেজেটেড কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে সর্বশেষ ৩ বছরের চাকরির বিবরণী/এলপিসি, অবসর ও পিআরএল-এ গমনের মঞ্জুরিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র/শেষ বেতনপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ৪ কপি সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরি স্থায়ীকরণের/নিয়মিতকরণের আদেশ (উন্নয়ন প্রকল্প হইতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত আত্মীকরণের মাধ্যমে যোগদানকৃত, এডহক ভিত্তিতে নিয়োগকৃতদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, প্রাপ্তব্য পেনশনের বৈধ উত্তরাধিকার ঘোষণাপত্র, নমুনা স্বাক্ষর ও হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ এবং না দাবির প্রত্যয়নপত্র।সরকারি কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর তাদের অবসর ভাতা বা পেনশনের টাকা তুলতে আগে যে হয়রানির শিকার হতে হতো ‘সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০’ জারি হওয়ার পর তা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ফলে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

Top