আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ।এখানে যে কোনো সময় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ।এখানে যে কোনো সময় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।


আলোকিত বার্তা:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ।এখানে যে কোনো সময় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের (একাংশ) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সকালে সভার উদ্বোধনের পর দুপুরে কর্ম অধিবেশন হয়। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের জন্য ভোট দেবেন সংগঠনটির সদস্যরা।
সরকার একেকটি আইন তৈরি করে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সংবাদপত্র এখন সংবাদকর্মীদের হাতে নেই। সংবাদপত্র চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।

খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করে রাখার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, তাকে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, প্রায় পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকে তারা মুক্ত করছে না। তার একমাত্র কারণ, খালেদা জিয়া যদি মুক্ত হয়ে আসেন তাহলে তাদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে দ্রুত জনমত গড়ে তুলবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবেন।বিচার বিভাগ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যেদিন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ থেকে তাড়াতে বাধ্য করা হল সেদিনই জুডিশিয়ারি শেষ। আর কোন মানুষের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে, ভিন্নভাবে রায় দেবে তাদের (সরকার) ইচ্ছার বাইরে গিয়ে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি মামলায় বেকসুর খালাস দিলেন জজ সাহেব। সেই জজ পালিয়ে বেঁচে আছেন। দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে তাকে। পিরোজপুরের ঘটনা দেখেছেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জজ সাহেবকে ট্রান্সফার করা হল আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জামিন বাতিল করে কারগারে নিতে বলেছিলেন বলে। এই হচ্ছে বিচার বিভাগের অবস্থা।

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সময় উঠে দাঁড়াবার। এই সময়টা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার সময়। এখানে অনেক বাধা আসছে, অনেককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে। আশা করি, জনগণের যে লড়াই সেখানে সাংবাদিকরা সবসময় সামনের দিকে ছিলেন, আজও তারা এই লড়াই-সংগ্রামে সামনের দিকে থাকবেন।সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া, সাংবাদিক গুম হওয়া এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে সাংবাদিক ছাঁটাই হবে, বিচার পাওয়া যাবে না। আপনাদের একজন বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা করতে পারছেন না। চলেই যেতে হবে ছেড়ে।’ এর প্রধান কারণ, এখানে কোনো নিশ্চয়তা নেই, আর্থিক কোনো নিরাপত্তা নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের যে ঐতিহ্য, যে ইতিহাস, সেখানে আমরা কখনও মাথা নত করিনি। আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে। আজকে হবে না, কালকে হবে। কালকে হবে না, পরশু হবে। সব জানালা বন্ধ থাকলে একটা জানালা খোলা থাকবে। সেই জানালা দিয়ে আমাদের এগোতে হবে।নিজেদের ছোট-খাটো বিভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একদিকে আন্দোলন করবেন, অন্যদিকে জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে হবে, জাগিয়ে তুলতে হবে।ডিইউজে’র (একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ রুহুল আমিন গাজী,এম আবদুল্লাহ, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমাদ, শহীদুল ইসলাম, আবদুস শহিদ, জামায়াতে ইসলামীর মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

Top