এবারের পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে থাকবে মুজিববর্ষের ছোঁয়া। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবারের পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে থাকবে মুজিববর্ষের ছোঁয়া।


আলোকিত বার্তা:গ্রামীণ আবহে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে জাতীয় সংসদ।এবারের পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে থাকবে মুজিববর্ষের ছোঁয়া।সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। সম্প্রতি সংসদ ভবনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উদযাপনের লক্ষ্যে গঠিত উপ-কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।জানা যায়, পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষে এমপি ও সংসদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উদযাপনের লক্ষ্যে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ অপারিজতা হককে। এই কমিটিতে রয়েছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফাও। বাংলা নববর্ষ সফলভাবে উদযাপন করতে সম্প্রতি এই উপ-কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথম পর্বে খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনা থাকবে। দ্বিতীয় পর্বে সংসদ সদস্য ছাড়াও সংসদে কর্মরত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরিবেশনা থাকবে। এ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতে নিজেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ও সাংসদ সুবর্ণা মোস্তফা।

কমিটির সদস্য উপ-সচিব আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, প্রথমেই অনুষ্ঠানস্থল অর্থাৎ যে মাঠগুলোতে অনুষ্ঠান হবে সেই মাঠগুলো ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।তিনি জানান, সংসদ এলাকায় অবস্থিত মেডিকেলের সম্মুখের, এলডি হল মাঠ এবং তার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠান হবে। মাঠ তিনটির মধ্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ, বিভিন্ন ধরনের স্টল, শিশুদের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা স্থাপন করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে চিফ হুইপসহ কমিটির সদস্যরা ঐকমত্য পোষণ করেছেন।উপ-কমিটির সদস্য নাহিদ ইজাহার খান বলেন, অনুষ্ঠান মঞ্চের সাজসজ্জা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দুটি পর্বে হবে। প্রথম পর্বে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা অংশ নেবন। বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শ্যামা রহমান এবং নৃত্যশিল্পী শুক্লা সরকার তাদের দলসহ অংশগ্রহণের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। প্রথম পর্বটি আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রথম পর্বে স্বাগত সংগীতে (এসো হে বৈশাখ) জাতীয় শিল্পীদের সঙ্গে উপস্থিত সংসদ সদস্যরাও অংশ নেবেন। প্রথম পর্বের সমাপ্তির পর অতিথিদের সকালের নাস্তার জন্য অনুষ্ঠানে ৩০ মিনিট বিরতি থাকবে। বিরতির পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্বে সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেবেন।অভিনেত্রী ও সাংসদ সুবর্ণা মুস্তফা বলেন, দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানটি অবশ্যই প্রথম পর্বের মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে। প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের একাধিক মহড়া করে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আসাদুজ্জামান নূরকে আবৃত্তি করার অনুরোধ করা যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। একই সাথে নিজেও আবৃত্তি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।সাংসদ শবনম জাহান বলেন, অনুষ্ঠানের মঞ্চসজ্জা, স্টল ডিজাইন এবং অন্যান্য বিষয়ে একটি গ্রামীণ আবহ তৈরি করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করা যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।এ প্রসঙ্গে পরিচালক (গণসংযোগ-১) মো. তারেক মাহমুদ উপস্থিত সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। তিনি দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সংসদ সদস্যদের তত্ত্বাবধায়নে আশানুরূপ হবে বলে কমিটিকে আশ্বস্ত করেন।উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার নববর্ষ অনুষ্ঠানকে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়ে আগত সকলকে উপহার দেয়ার প্রস্তাব করেন। এতে বাতাসা, কদমা, আঙ্গুলগজা দেয়া যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করলে উপস্থিত সবাই তার প্রস্তাব সমর্থন করেন।

Top