কয়েকদিন আগে দিল্লিতেও গণহত্যার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি এখন বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট উপলব্ধি করতে পারছেন?
আলোকিত বার্তা:ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কেন্দ্র করে সম্প্রতি দিল্লিতে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে দাঙ্গা হয়ে গেল, বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ ছিল ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা তার নিজের পিতার নামে ঘোষিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যেকোনো মূল্যে তাকে ঢাকায় আনার জন্য নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,কয়েকদিন আগে দিল্লিতেও গণহত্যার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি এখন বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট উপলব্ধি করতে পারছেন? দিল্লিতে সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এটি কেবল বাংলাদেশের মানুষের বক্তব্য নয়, গতকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সমাবেশে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি বরং সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। নিজ দেশেই যে রক্ত ঝরছে সেটিকে বন্ধ না করে মিঃ মোদী যে বাংলাদেশে আসছেন সেটি কি এদেশের মানুষকে উপহাস করা নয় ? এটি তাঁর বিবেচনায় থাকা উচিৎ। রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়া ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সরকার কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আনার জন্য এতো উদগ্রীব ? এই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে।তিনি বলেন, দেশের জনগণের মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য এই সরকারের উচিত ছিল ভারতে গণহত্যার প্রতিবাদ করা। মুসলিম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক ও বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করা। অথচ সেটি না করে নিশিরাতের সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, দিল্লির গণহত্যা আর নাগরিকত্ব আইন নাকি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই আইনটি করার সময় স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে এটি কিভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে?
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওই ঘটনার পর মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠিক হবে না বলেও মনে করছেন তিনি।এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কয়েকদিন আগে দিল্লিতে গণহত্যার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি এখন বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট উপলব্ধি করতে পারছেন? দিল্লিতে সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এটি কেবল বাংলাদেশের মানুষের বক্তব্য নয়, গতকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সমাবেশে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি বরং সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। নিজ দেশেই যে রক্ত ঝরছে সেটিকে বন্ধ না করে মি. মোদী যে বাংলাদেশে আসছেন সেটি কি এদেশের মানুষকে উপহাস করা নয়? এটি তার বিবেচনায় থাকা উচিৎ। রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়া ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সরকার কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আনার জন্য এতো উদগ্রীব? এই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে।
বিএনপির এ নেতা দাবি করেন, মুজিব জন্ম শতবার্ষিকী পালন নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড। রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে সংকীর্ণতাবাদ ও একদেশদর্শীতা এবং দেশজুড়ে অবিশ্বাস অসহিষ্ণুতা ও বিদ্বেষের আবহে তারা মুজিব জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছে। এটিকে তারা যেন নিশিরাতের নির্বাচনের সাফল্যের উৎসব হিসেবে মনে করছে।তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর প্রতিটি বাড়ির দেয়াল রঙ ও সংস্কার করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হচ্ছে এই বর্ষ পালনে।