প্রার্থীরা সমঝোতা মেনেই প্রচার চালাবেন
আলোকিত বার্তা:ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধির পরিবর্তে প্রার্থীরা প্রচার এবার চালাবেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও তাদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে। তবে সেই সমঝোতা ভেঙে কোনো প্রার্থী প্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে চান না এ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন। তার আশা, প্রার্থীরা সমঝোতা মেনেই প্রচার চালাবেন।রোববার (১ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইটিআই ভবনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।সম্প্রতি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন ইসি ও এ আসনে অংশ নেয়া ছয় প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ইসি নির্ধারিত ২১টি স্থানের বাইরে পোস্টার লাগাতে পারবেন না প্রার্থীরা। নির্ধারিত ৩টি স্থানে জনসভা ও পথসভা করতে পারবেন তারা। এ ছাড়াও নির্বাচনী প্রচারে মানুষের যেন ভোগান্তি তৈরি না হয়, সেজন্য আরও কিছু বিষয়ে সমঝোতা সই হয় তাদের মাঝে।সমঝোতা ভেঙে প্রার্থীরা প্রচার চালালে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি নেয়া হবে জানতে চাইলে এ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যবস্থাই নিতে চাই না। আমরা চাই, প্রতিটি প্রার্থী সমঝোতার বিষয়গুলো মেনে চলবেন। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি, তারা আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে। তারা সম্মানিত ব্যক্তি, সমাজের সুধীজন। তারা যে সমঝোতা করেছেন, সেটা মেনে চলবেন।’
শাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি প্রার্থীই সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। প্রার্থীরাই আগামী দিনে আমাদের জনপ্রতিনিধি হতে যাচ্ছেন। আশা রাখি, সবাই মেনে চলবে এটা। এটা সফল হলে হয়তো আইনেরও সংশোধনী আসতে পারে। প্রতিটি প্রার্থী এই সমঝোতা স্মারক ও আচরণবিধি মেনে চলবেন এটা আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম ‘নৌকা’, বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ‘ধানের শীর্ষ’, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী ‘ডাব’, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ‘হারিকেন’ এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) আব্দুর রহীম ‘বাঘ’ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। ১ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলো। আগামী ২১ মার্চ এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করে সিটি নির্বাচনে অংশ নিলে আসনটি শূন্য হয়।