হঠাৎ করে আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে জনস্বার্থবিরোধী
আলোকিত বার্তা:হঠাৎ করে আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে জনস্বার্থবিরোধী আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছে, এটি আগুনে ঘি ঢালার শামিল।বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ কথা বলেন।তারা বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ সরকার সেই দুর্নীতি বন্ধ না করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের পক্ষে ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল।’
নিয়োগ,ক্রয়,উৎপাদন,সঞ্চালন ও সেবাখাতে চরম দুর্নীতি বিরাজ করছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছে,গণমাধ্যমে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে আমরা জেনেছি, গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রেন্টাল, কুইক রেন্টাল কোনো প্রকার বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও ৫৩ হাজার কোটি টাকা পিডিপির কাছ থেকে নিয়েছে। জনগণের কাছ থেকে এভাবে অর্থ আদায় করে অনৈতিকভাবে কতিপয় ব্যক্তিকে সুবিধা দেয়া কাম্য নয়।ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।দেশে বাজার ব্যবস্থা লাগামহীন। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার ব্যবস্থা করল। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এ ঘোষণা বর্তমান সময়ে যথোপযুক্ত নয়।দুর্নীতি ও ভুল নীতিতে লাগামহীন বিদ্যুৎখাত। দুর্নীতি উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। বিবৃতিতে ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, অযৌক্তিকভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলমান। এই দুর্নীতি রোধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কোনো প্রয়োজন হতো না। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিদ্যুতে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।