মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবস্থান রহস্যজনক
আলোকিত বার্তা:মুক্তিযুদ্ধের সময় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের অবস্থান ‘রহস্যজনক’ ছিলো বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এই দাবি করেন।এসময় ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে মোজাম্মেল হক বলেন, অনেকে তাকে বলেন সংবিধানের প্রণেতা। বাস্তবতা যাই হোক, তিনি আইনমন্ত্রী থাকাকালীন সংবিধান প্রণীত হয়েছিল। তিনি সে কমিটির আহবায়ক ছিলেন। নিঃসন্দেহে সেই কৃতিত্বের অধিকারী তিনি হতেই পারেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবস্থান রহস্যজনক ছিল। যাই হোক, আমরা সেই কথা বলতে চাই না।
ড. কামালের পরিবার বাংলাদেশের সাফল্য মেনে নিতে পারছে না দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, তার (ড. কামাল) এক মেয়ের জামাতা আছে ইহুদি, তিনিও যে সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষাদগারকরে আসছেন, তা নিশ্চয়ই জাতি জানে। পরশু দিনের কথায় আমার ধারণা নিশ্চিত হয়েছে, পরিবারটি বোধ হয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে যেহেতু মানার ব্যাপারে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, আজকে সেগুলো পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে, কী ছিল সে সময়কার ভূমিকা।মোজাম্মেল হক আরো বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের পদত্যাগ দাবি যে কেউ করতে পারেন। কিন্তু কামাল হোসেন যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা আমরা আশা করিনি।এসময় নোবেল পুরস্কারের মতো এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রচলন করার দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সেই সঙ্গে ইউনেসকোতেও বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, লুই কানের নকশায় বলা আছে, সংসদ এলাকায় কী থাকবে, কী থাকবে না। এই এলাকায় কয়েকজনের কবর আছে, যারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সংবিধান কাটাছিড়া করেছিলেন তারও একটি কথিত কবর আছে। হত্যাকারীরা তার লাশ পুড়িয়ে দিয়েছিল। লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কার লাশ এখানে দাফন করা হয়েছে জানা নেই। তিনি নকশা বহির্ভূত কবর বা স্থাপনা অপসারণ করার জন্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।সংসদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সভা হওয়া উচিত। কিন্তু ধর্মসভার নামে ইসলাম বিরোধী যেসব অপপ্রচার হচ্ছে সেদিকে ধর্ম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সজাগ থাকতে হবে। অপপ্রচারকারী এসব আলেম নামধারীদের তালিকা তৈরি করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে।