অবসরের পরও আজীবন রেশন পাবেন পুলিশ সদস্য।এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে অর্থ বিভাগ।
আলোকিত বার্তা:অবসরের পরও আজীবন রেশন পাবেন পুলিশ সদস্য।এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে অর্থ বিভাগ।এ সুবিধার আওতায় প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের পরিবারের দুজন সদস্যকে ভর্তুকিতে রেশন দেবে।অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আশরাফ উদ্দীন আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্রটি এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পরিবারের মোট দুজন সদস্যকে সরকার ভর্তুকিতে নির্ধারিত হারে ও শর্তে রেশন দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ অনুযায়ী প্রত্যেক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের দুই সদস্যবিশিষ্ট পরিবার মাসে ২০ কেজি চাল পাবে। একই সঙ্গে প্রতি মাসে ২০ কেজি আটা, সাড়ে চার কেজি ভোজ্যতেল ও দুই কেজি ডাল রেশন হিসেবে দেয়া হবে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা একজন হলে এর অর্ধেক হারে রেশন সুবিধা দেয়া হবে।
তবে এজন্য বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে যেসব পুলিশ সদস্য চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বা পরবর্তী সময়ে অবসরে গিয়েছেন বা যাবেন; শুধু তারা এ সুবিধা পাবেন। সন্তানদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা ২১ বছর পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। অবিবাহিত কন্যা, প্রতিবন্ধী, স্ত্রী ও বিকলাঙ্গ সন্তান আজীবন এ সুবিধা পাবে। পরিবারের সদস্য যতজনই হোক না কেন, শুধু দুজন সদস্য এ সুবিধা পাবেন।তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পুলিশ বাহিনীর সদস্য হলে অথবা ভিন্ন ভিন্ন রেশন সুবিধাসংবলিত দফতর বা সংস্থায় কর্মরত হলে তাদের একজন এ সুবিধা পাবেন। এ বিষয়ে সম্মতিপত্রে বলা হয়, দুজনের যেকোনো একজন যতদিন কর্মরত থেকে পারিবারিক রেশন সুবিধা ভোগ করবেন, ততদিন পর্যন্ত অপরজন বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্য অবসরকালীন রেশন সুবিধা পাবেন না।অর্থ বিভাগের পাঠানো চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এ বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খাদ্য ভর্তুকি খাত থেকে মেটাতে হবে। এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে। আদেশ জারির দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে।উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পুলিশ সদস্যদের আজীবন রেশন সুবিধা দেয়ার বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আশরাফ উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়।
