বিদেশি দূতাবাস বা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশি দূতাবাস বা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।


আলোকিত বার্তা:বিদেশি দূতাবাস বা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।তাদের বাংলাদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিচালক (জনসংযোগ) মোহা. ইসরাইল হোসেন সই করা নথিতে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে মোট ৭৪ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। তাদের মধ্যে ৪৬ জন বিদেশি নাগরিক এবং ২৮ জন বাংলাদেশি।বিদেশি দূতাবাসে বা মিশনে বাংলাদেশি কর্মচারী কর্মরত থাকলে তিনি বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে কি-না, জানতে চাইলে শুক্রবার সিইসি বলেন, ‘তারা পারবে না।’

যাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে,তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আলমগীর বলেন,আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে,তিনি যদি বাংলাদেশি হন,তাহলে তিনি স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে গণ্য হবেন।তাদের সেই চিঠিও দেয়া হয়েছে।এর আগে,সরকারের মধ্য থেকেও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নির্বাচন কমিশনকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি কীভাবে ঘটল জানি না। বিদেশি যেসব দূতাবাস এদেশে আছে, তারা তাদের কোড অব কন্ডাক্ট (আচরণবিধি) জানে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশন আইনানুযায়ী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হতে হলে বিদেশি হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন মিশন তাদের বাংলাদেশি কর্মচারীদের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন। এটা পুরোপুরি আইনের লঙ্ঘন। এজন্য আমরা বলেছি, বিদেশি কূটনীতিকদের কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলতে হবে।

বিভিন্ন মহল থেকে আসা সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবারের ঘোষণা থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন।এদিকে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সিইসি নূরুল হুদা বলেন,কমিশনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা-অনাস্থা নির্ভর করে তাদের মানসিকতার ওপর। তবে আমরা পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করিনি, করবও না। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পক্ষপাতহীন আচরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাজ করছে।তিনি আরও বলেন, এই দেশে নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলের আস্থা ছিল, এটা কোনোদিন দেখিনি। সুতরাং যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের বক্তব্য একরকম হবে। আবার অন্য দলের আস্থা ইসির ওপর আসবে না, এটাই দেশের পকিটিক্যাল কালচার (রাজনৈতিক সংস্কৃতি) হয়ে দাঁড়িয়েছে।আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসি ও ডিএসসিসিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Top