মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের আহবান - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের আহবান


আলোকিত বার্তা:মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ৷সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিষেক সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশ আজ মাদক-ইয়াবায় সয়লাব হয়ে যাচ্ছে, এতে দেশের তরুণরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশে মাদক ঢোকার একটি অন্যতম রুট হচ্ছে কুমিল্লা। আমি অত্যন্ত ব্যথিত যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় এই মাদকের বিস্তার সবচাইতে বেশি। মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবেবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সমাবর্তন বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের যেসব প্রতিকূলতা আছে আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের তালে সেগুলো মানিয়ে নিতে হবে। ব্রিটেনের অনেক গ্রামে ব্রডব্যান্ড নাই। সেই তুলনায় আমাদের গ্রামগঞ্জে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংকে পিছিয়ে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাবো।এছাড়াও সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।শিক্ষা উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ থাকলেই চলবে না নিতে হবে ব্যবহারিক শিক্ষাও। কেউ ব্যবসা প্রশাসন পড়লে তাকে পাশাপাশি প্রযুক্তির জ্ঞানটাও অর্জন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, আমি বিশেষভাবে আপ্লুত এখানে এসে যে এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। সকল গ্র্যাজুয়েটদের তাদের কর্মক্ষেত্রে অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে আপনারাই এগিয়ে আসবেন প্রত্যাশা করি।আপনাদেরকে সঠিক কাজটি করতে হবে।সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আয়োজিত হচ্ছে। উপাচার্য হিসেবে আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ যারা চূড়ান্ত সনদ পাচ্ছো তারা ভবিষ্যতে সফল হলেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা।বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মহামান্য রাষ্টপতির ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে। শিক্ষার্থীদের সনদ প্রাপ্তি উদযাপনে সন্ধ্যার পর আয়োজিত হয় কনসার্ট। সাংস্কৃতিক সন্ধায় নগর বাউল জেমসের কন্ঠে সাধারন শিক্ষার্থী ও গ্র্যাজুয়েটরা আনন্দ -উল্লাসে মেতে উঠে। রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Top