সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ


আলোকিত বার্তা:সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আরও সতর্ক থাকতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে। চীন হয়ে যারা আসছেন, তাদেরকেও বিশেষভাকে দেখাশোনা করতে হবে। সবাইকে কেয়ারফুল থাকতে হবে। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট এবং পোর্টে স্পেশাল কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে আমাদের মধ্যে বিস্তার না ঘটতে পারে। চীন বা হংকং থেকে থেকে যেসব প্লেন আসবে সেগুলোতে বিশেষ নজর রাখতে হবে। চীনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ হয় এমন পোর্টে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

ইতিমধ্যে এ ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে ৮১ জনের প্রাণ। এ ছাড়া এটি সংক্রমিত হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষের দেহে।২০০২ সালে সার্স এবং ২০১২ সালের মার্সের মতই একই পরিবারের সদস্য এ করোনাভাইরাস, যারা ছড়াতে পারে মানুষ থেকে মানুষে।মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় যারা চীন থেকে দেশে ফেরে আসতে চাইবেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমন কথা বলেছেন।তিনি জানান, আমরা চীন সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছি। কি প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে; তা বাস্তবতার নিরিখে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্মতির ভিত্তিতে করা হবে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আমাদের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বিষয়ে আজকের দিনের শেষে একটি প্রাথমিক নির্দেশনা জারি করা হবে, যার মূল উদ্দেশ্য থাকবে আগ্রহীদের তালিকা প্রণয়ন।এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও সন্দেহভাজনদের চিকিৎসায় উহানে ছয়দিনের মধ্যে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল বানানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন।নতুন নিউমোনিয়া সদৃশ ভাইরাসটিতে দেশটিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক হাজার ৯৭৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, মারা গেছে ৮০ জন।

এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহর উহান থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটির হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে উৎকণ্ঠিত বাসিন্দাদের অস্বাভাবিক ভিড়। ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে ওষুধের সংকট।এরকম পরিস্থিতিতেই চীন উহানে বিশেষায়িত ওই হাসপাতালটি বানানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে; নতুন এ হাসপাতালটি প্রায় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হবে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।হাসপাতালটি ২৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে হবে; খনন কর্মীরা এরই মধ্যে স্থানটিতে পৌঁছে গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।সার্স ভাইরাস মোকাবেলায় ২০০৩ সালে চীন বেইজিংয়ে সাত দিনে একটি হাসপাতাল বানিয়েছিল; উহানের নতুন হাসপাতালটি ওই আদলেই হবে।

Top