সিটির নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে অনতিবিলম্বে সরে আসার আহ্বান - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিটির নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে অনতিবিলম্বে সরে আসার আহ্বান


আলোকিত বার্তা:আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের(ইভিএম)ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে অনতিবিলম্বে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলছে,ইভিএমকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে।শনিবার(১৮ জানুয়ারি)বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।এতে লিখিত বক্তব্য পড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব।
ইভিএম সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে রব বলেন,বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা আছে। বলা হয়েছে,ভোটের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে। কিন্তু ইভিএমে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না।ভোটারদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে না। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন। তাই ইভিএমকে বুড়িগঙ্গায় নয়,বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন,সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও চিরস্থায়ী করার নিত্যনতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি,ভয়ভীতি,সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনবিমুখ করা হয়েছে।নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।সেই ফাঁদের একটি হচ্ছে ইভিএম।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন,যে কোনো যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে— এ কথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি ও তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায়। এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ,নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সানোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

Top