নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।


আলোকিত বার্তা:নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গত ২৪ ডিসেম্বরের নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।ফলে নীলফামারীর ২৬৬ জন এবং বরগুনার ৪০৩ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হলো।নিয়োগে ২০১৩ সালের শিক্ষক নীতিমালা অনুসরণ না করায় ২১ জন নিয়োগ প্রার্থীর পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের এক দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবেদনকারী আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা।এদিকে হাইকোর্টের মঙ্গলবারের রুলের প্রেক্ষিতে নওগাঁ ও ভোলা জেলায় নিয়োগ স্থগিত রেখেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই দুই জেলার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বুধবার বলেন, নওগাঁ ও ভোলা জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমে নারী-পুরুষ কোটা অনুসরণ হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে এ বিষয়ে একটি রিট দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাকে রিট শুনানির কাগজ তুলতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে জবাব দেয়া হবে।উল্লেখ্য, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গত ২৪ ডিসেম্বর নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

নিয়োগে ২০১৩ সালের শিক্ষক নীতিমালা অনুসরণ না করায় ১৬ জন নিয়োগ প্রার্থীর পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার লোমত আরা চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে জারি করা রুলের বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী মো. কামাল হোসেন গতকাল (মঙ্গলবার)বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে।’কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ১৬ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে রিট করেন। আজ আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একই সঙ্গে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফলাফল কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Top