দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল


আলোকিত বার্তা:দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব এবং শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।রোববার সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও সাইকোলজিস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানির পর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

২৪ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া রিটটি করেন।দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিস্ক্রিয়তা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭ (ক ও খ), ১৮ (১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ রিট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সুপ্রিমকোর্টের এই আইনজীবী।

আজ রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ক্রমাগত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপ্তির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, ব্যক্তিত্বের সংকট, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা,অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এ বিষয়গুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এসব বিষয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। যার কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন বলে রিটে বলা হয়েছে।

Top