আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি।১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে,আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি।১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে,আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি।


আলোকিত বার্তা:রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি।১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে,আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি।সেখানে কার নাম আছে,আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।সোমবার বিকেলে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।তিনি বলেন,একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে।আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না। আর যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল।যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব’ বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।উল্লেখ্য, রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের(বাসদ)বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী তার বাবা ‘তপন কুমার চক্রবর্তী’র নাম নিয়ে এমন অভিযোগ তুলেছেন।সোমবার মনীষা চক্রবর্তী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ।ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে।সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে।আমার বাবা এড.তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং-১১২ পৃষ্ঠা-৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেয়ে থাকেন!আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার।আমার ঠাকুরদা এড.সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন- শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে।আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে।মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে আন্দোলন যেন না করি,নির্বাচনে যেন অংশ না নিই।রাজী না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে।আমরা জেল খেটেছি,নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি।

Top