দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন(ইসি)। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন(ইসি)।


আলোকিত বার্তা:দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন(ইসি)।শুধু জনসংখ্যা নয়, ভোটার অনুপাতে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করাসহ কয়েকটি সংশোধনী চেয়েছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হলে তা নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।তবে মন্ত্রণালয় ইংরেজি আইনের পরিবর্তে এটি বাংলায় করার পক্ষে মত দিয়েছে।নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়,দি লিমিটেশন অ্যাক্ট-১৯৭৬’আইনটিতে ভৌগোলিক অবস্থান,জনসংখ্যা,প্রশাসনিক ও যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা-এই চারটি বিষয়কে মাথায় রেখে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিধান রয়েছে। তবে আইনের ওই অংশে সংশোধনী এনে গাণিতিক ফর্মুলা ব্যবহারের প্রস্তাব করে আগামীতে সীমানাবিন্যাস করার প্রস্তাব করে ইসি।এ ছাড়া আইনটি বাংলায় করার প্রস্তাব করা হয়।বিদ্যমান আইনে সীমানাবিন্যাস জটিলতা রয়েছে জানিয়ে আইনে এই সংশোধনী আনতে উদ্যোগী হয় প্রতিষ্ঠানটি।সূত্র জানায়,নির্বাচন কমিশন আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় ৬২টি আসন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো আসনের জনসংখ্যার তারতম্য ২৫ শতাংশের বেশি। এই আসনগুলোর পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে। পরে আসনের সীমানায় তেমন পরিবর্তন আসেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন,সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত আইনটির সংশোধনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।তবে মন্ত্রণালয় এটি বাংলায় করার পক্ষে মত দিয়েছে।আমরা বিষয়টি নিয়ে ইসিতে আলোচনা করেছি।আইন মন্ত্রণালয়ের এ আপত্তিতে দ্বিমত করেনি ইসি।

Top