মানুষ হত্যা সরকারের কাছে‘ডাল-ভাতে’পরিণত হয়েছে
আলোকিত বার্তা:মানুষ হত্যা সরকারের কাছে‘ডাল-ভাতে’পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।ভোলায় হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।রিজভী বলেন, ভোলায় নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে। শুধু কথায় কথায় গুলি। দেশের মানুষ মনে হয় পশু-পাখির মতো। যেকোনো একটা সমাবেশ হলেই সেখানে গুলি আর হত্যা। মানুষ হত্যা সরকারের কাছে ডাল-ভাতে পরিণত হয়েছে।তনি বলেন,এ সরকারের কোনো কাজ নাই।এরা গণতন্ত্র হত্যা করেছে,এরা বাক-স্বাধীনতা হরণ করেছে,এরা স্বাধীন মতামত হত্যা করেছে। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলো সমাবেশ করা।এটি সাংবিধানিক অধিকার,সেই অধিকারকে ভোলায় সরকার সহ্য করলো না,চারজনকে হত্যা করলো,শতাধিক আহত করলো বিনা কারণে,বিনা উসকানিতে।’
গত ২০ অক্টোবর(রোববার)ভোলার বোরহান উদ্দিনে এক হিন্দু তরুণের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য ছড়ানোর পর মুসলিম তাওহিদী জনতার ব্যানারে সমাবেশ ডাকা হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক মাদরাসার ছাত্রসহ অন্তত ৪ জন নিহত ও ১০ পুলিশসহ শতাধিক আহত হন।ভোলার এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ ঢাকার থানায় থানায় এবং সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পল্টন-শাহবাগ-রমনা থানা বিএনপি। মিছিলটি নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় দিয়ে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
রিজভী বলেন,আমরা সারাদেশে ভোলা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজকে কর্মসূচি পালন করছি।আমাদের সবাইকে এই প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসতে হবে। আমরা যদি প্রতিবাদ না করি তাহলে আপনাদের-আমাদের কারো জীবনই নিরাপদ থাকবে না,আমাদের সন্তানরা নিরাপদে স্কুল-কলেজে যেতে পারবে না,বাসায় ফিরে আসতে পারবে না।
ভোলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,কথায় কথায় গুলি, কথায় কথায় গ্রেফতার।এটার একটা কারণ আছে,প্রতিবাদকে আগে-ভাগেই নিস্তব্ধ করে দেয়া,যাতে দেশ বিক্রি করা যায়,পানি বিক্রি করা যায়,মাটি বিক্রি করা যায়,বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের বিমানবন্দর করা যায়। এ কারণেই প্রতিবাদ মিছিল বা সমাবেশের জবাব হচ্ছে গুলি,জবাব হচ্ছে রক্তপাত,জবাব হচ্ছে মানুষ হত্যা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারও বক্তব্য দেন।