প্রভাবশালী সহকর্মীর হাতে খোদ কর্মস্থলে তাকে মাসের পর মাস যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রভাবশালী সহকর্মীর হাতে খোদ কর্মস্থলে তাকে মাসের পর মাস যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।


আলোকিত বার্তা:নিজের ব্যাচমেটের দ্বারা সম্ভ্রম হারানোর এক সাগর কষ্ট নিয়ে কঠিন পথ পাড়ি দিচ্ছেন ইকোনমিক ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। প্রভাবশালী সহকর্মীর হাতে খোদ কর্মস্থলে তাকে মাসের পর মাস যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।সংসার ও সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষার কথা ভেবে ভুক্তভোগী নারী কর্মকর্তা প্রথমদিকে একাই লড়েছেন লম্পটরূপী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।কিন্তু কোনোভাবেই তাকে নিবৃত্ত করতে না পেরে একপর্যায়ে মুখ খোলেন। প্রথমে ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের কাছে প্রতিকার চান।কিন্তু বিধি বাম। উল্টো তাকে দফায় দফায় হেনস্তা করা হয়।বিষয়টিকে তারা রীতিমতো উপভোগ পর্যায়ে নিয়ে যান এবং বিচারের নামে প্রহসন করেন।অভিযোগ প্রত্যাহার করতে প্রবলভাবে চাপ দেন।

অতঃপর বাধ্য হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে।এতে ভুক্তভোগী নারী কর্মকর্তা অব্যাহত যৌন হয়রানিসহ তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন।যার পরতে পরতে রয়েছে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তার বলতে না-পারা কষ্টের কথা,একজন উচ্চশিক্ষিত নারীর রুখে দাঁড়ানোর প্রতিবাদ। কিন্তু সেখানেও তিনি সুবিচার পাননি।তবে সংঘবদ্ধ অপশক্তির কাছে মাথা নত করবেন না এবং শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন বলে শপথ নিয়েছেন এই সাহসী নারী। যাতে আর কাউকে এ রকম পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়,সেজন্য ভেঙে যাওয়া সংসারেও ভেঙে পড়েননি তিনি। প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম জয়নাল মোল্লা। তিনি ইকোনমিক ক্যাডারের ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা। পদবি সিনিয়র সহকারী প্রধান। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমানের একান্ত সচিব (পিএস)।

অভিযোগকারী নারী কর্মকর্তা একই ব্যাচের সিনিয়র সহকারী প্রধান। বর্তমান কর্মস্থল পরিকল্পনা কমিশন। ঘটনার সময় বাদী ও বিবাদী দু’জন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।এদিকে এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরপর ৭ মে চার্জ গঠন করে বাদী ও বিবাদী উভয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।তবে বাদী বা ভিকটিম তার আবেদনে জানিয়েছেন,শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে হয়নি।তিনি ঘটনার শিকার।তাকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে। তাই তিনি এ বিষয়ে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্টের আদেশ দ্বারা প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিকার চেয়েছেন।

এর ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিকল্পনা বিভাগ এরই মধ্যে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি-নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে ইনহাউস কমিটি পুনর্গঠন করেছে। এছাড়া এ বিষয়ে দায়ের করা বিভাগীয় মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।এ দিকে ৫ মে ভিকটিম হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিটে যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ তৈরিতে হাইকোর্টের প্রদত্ত নীতিমালা অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিকার চান। এরপর আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ২ জুলাই পরিকল্পনা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত ইনহাউস কমিটি পুনগর্ঠন করা হয়। পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (এসএসআরসি) বেগম ফৌজিয়া জাফরিন, এনডিসিকে সভাপতি করে গঠিত ৭ সদস্যের কমিটি এরই মধ্যে বাদী ও বিবাদীসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে।

এছাড়া ২১ অক্টোবর অবশিষ্ট ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করবে।এর আগে ২৫ আগস্ট বাদী এবং ৪ সেপ্টেম্বর বিবাদীর সাক্ষ্য নেয় এই কমিটি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে চলমান বিভাগীয় মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে ১৫ জুলাই চিঠি ইস্যু করা হয়।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম প্রতিবেদককে বলেন,পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গেলে আমার পর্যায়ের একজন নারী কর্মকর্তা লোকলজ্জা ও সামাজিক মানসম্মান সবকিছু ভুলে এ রকম একটি বিষয়ে মুখ খুলতে পারে, সেটি সবাইকে ভেবে দেখতে বলব।তিনি বলেন,হয়তো আমার মতো অনেকে কর্মস্থলে এ রকম হায়েনার মুখোমুখী হয়েছেন বা হচ্ছেন। কিন্তু নানা কারণে মুখ বুজে সহ্য করছেন। তবে আমি প্রতিবাদ করে সামনে এসেছি,বিচার চাইছি।এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার কর্মস্থলের দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এবং পক্ষপাতমূলক আচরণ করে ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করায় আমি শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।গুরুতর এই অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা যুগান্তরের কাছে দাবি করেন,পুরো বিষয়টি সাজানো।বরং প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমাকে জব্দ করতে সহকর্মী ব্যাচমেট এমন মানহানিকর পন্থা বেছে নিয়েছেন।’

বিষয়টি নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে কেন ভিকটিমকে মাফ করে দিতে বলেছিলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সহকারী প্রধান জয়নাল মোল্লা বলেন,মাফ চাওয়ার বিষয়টি এক পাক্ষিক ছিল না।সিনিয়রদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে মাফ চেয়েছিল তার স্বামীর কাছে,আমি চেয়েছিলাম আমার স্ত্রীর কাছে। কারণ এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের জীবনসঙ্গীকে কষ্ট দিয়েছি।এই কর্মকর্তা তার নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর আমি যদি জোরপূর্বক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে থাকি, তাহলে তিনি আমার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ থাকার কথা। কিন্তু আমার বদলি আদেশ ঠেকাতে সাতদিন পর তিনি কেন আমাকে একজন দক্ষ কর্মকর্তা উল্লেখ করে নোট উপস্থাপন করেন। এতে প্রমাণ করে, ওইদিন এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

ঘটনাক্রম :ভুক্তভোগী নারী কর্মকর্তা তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করেন ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। ভিকটিম তখন আইএমইডির উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।অভিযুক্ত জয়নাল মোল্লাও একই দফতরে পাশাপাশি কক্ষে কর্মরত। সচিবের কাছে তিন পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগের এক স্থানে বলা হয়, ‘২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে আমার সঙ্গে সুকৌশলে পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে তার রুমে (১১নং ব্লকের তিন তলার তৎকালীন ৩২ নম্বর রুমে) ডেকে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে তথা লোক জানাজানির ভয় দেখিয়ে নভেম্বর ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমিও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে অবহিত করতে পারেনি।’

এর মধ্যে ২০১৮ সালের মার্চে জয়নাল মোল্লা ভিকটিমের মুঠোফোনে নোংরা একটি খুদে বার্তা পাঠান, যা তার স্বামী দেখে ফেলে। পরে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভিকটিম চিঠিতে বলেন, ‘২০১৮ সালের ২১ জুন জয়নাল মোল্লা তাকে জানায়, ‘স্ত্রীর গর্ভধারণের সময়ে আমাকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে সময় কাটানোর জন্য এভাবে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন বিষয়টি ভুলে যেতে হবে এবং আমার (ভিকটিম) বিষয়ে তার কোনো দায়দায়িত্ব নেই। এমনকি এও বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রধারী ক্যাডার দিয়ে তাকে এবং তার স্বামী শিক্ষা দেবে।’

ভিকটিম তার চিঠির এক স্থানে লেখেন,এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জয়নাল মোল্লার ভদ্রবেশী মুখোশটা খুলে যায় এবং আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে ৯ নভেম্বর ২০১৭ থেকে ২ জুন ২০১৮ পর্যন্ত তার স্ত্রী গর্ভকালীনের শুরু থেকে ডেলিভারির পূর্বসময় পর্যন্ত সে সুকৌশলে ও ফুসলিয়ে পরিবেশ তৈরি করে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমাকে ব্যবহার করেছে।এছাড়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,একজন পুরুষ সহকর্মী সুকৌশলে ফাঁদ পেতে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে ফুসলানোমূলক কথাবার্তা বলে কোনো মহিলা সহকর্মীকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলা,সুকৌশলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ও বজায় রাখা,পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্ক অস্বীকার করা ইত্যাদি অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করা অসদাচরণের শামিল।

জয়নাল মোল্লার এই ধরনের হীন আচরণের জন্য আজ আমার পারিবারিক জীবন ধ্বংস প্রায় এবং আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এছাড়া আমার কর্মক্ষেত্রে কটূক্তি,মিথ্যা দোষারোপ,তির্যক মন্তব্য,অফিস পরিবেশে আমাকে নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাসাহাসি বিদ্রুপসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছি। ফলে কর্মপরিবেশ আমার জন্য অস্বস্তিকর ও বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।তার এই অনুচিত আচরণ একজন মহিলা সহকর্মী হিসেবে আমার প্রতি অফিসিয়াল শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং চূড়ান্তভাবে মর্যাদাহানিকর। বিষয়টি উপলব্ধি করে জয়নাল মোল্লা চাপ প্রয়োগে মিটিয়ে ফেলার জন্য ব্যাচমেটদের মধ্য থেকে বিভিন্নজনকে আমার কাছে পাঠিয়ে আমাকে হেনস্তা করে।’সচিবের কাছে ভিকটিমের এই লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর অভিযুক্ত সিনিয়র সহকারী প্রধান জয়নাল মোল্লাকে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখায় বদলি করা হয় গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ে শুনানি গ্রহণ করতে ভিকটিমকে ৮ অক্টোবর চিঠি দেয়া হয়। শুনানি করেন পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ড. আছমা আক্তার জাহান ও মাজেদা ইয়াসমীন। এরপর ভিকটিম ও অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় ৯ ডিসেম্বর।

এতে বলা হয়,কর্মস্থলে অশালীন এবং অনৈতিক আচরণে লিপ্ত হওয়ায় তাদের অসদাচরণের প্রাথমিক সত্যতা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে,যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০০৮ এর ২(খ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ তাই বিধি মোতাবেক কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে পৃথকভাবে দু’জনকে একই চিঠি দেয়া হয়।এ বছর ৮ জানুয়ারি ভিকটিম লিখিতভাবে জবাব দেন। সেখানে চার পৃষ্ঠার লিখিত জবাবের শেষদিকে ভিকটিম বলেন, ‘তিনি কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাই যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগটি ‘যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ তৈরিতে হাইকোর্টের প্রদত্ত নীতিমালায় প্রতিকার চান।

এদিকে ভিকটিম আরও বলেন, আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু যেদিন প্রথম আমার সঙ্গে এ ধরনের জোরপূর্বক ঘটনা ঘটে, সেদিন ওই কক্ষে অন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন না। ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করলে এর প্রমাণ মিলবে। এই অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, আমাদের অফিসে অনেকে ৯টার আগে অফিসে আসেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করলেই এর প্রমাণ মিলবে। সুতরাং তার অভিযোগ আদৌ সত্য নয়। তাছাড়া তিনি তো গ্রামের কোনো সাধারণ মেয়ে নন। একজন উচ্চশিক্ষিত ক্যাডার কর্মকর্তা। তাহলে তিনি কেন ফুসলানো বা প্ররোচনায় পা দেবেন।বিসিএস (ইকোনমিক) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান ফরিদ আজিজ বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই বিব্রতবোধ করছি। ভিকটিম আমাদের ছোট বোন।আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইন ও বিধিবিধানের মধ্যে যেটুকু করা সম্ভব,সব চেষ্টাই করেছি। কিন্তু এখন যেহেতু অনাস্থা ও ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠছে,সেহেতু বিষয়টি নিয়ে আমাদের আর কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।যদি এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে,তাহলে সেটি ফৌজদারি আইন অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে। এছাড়া বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেখবে।

Top