শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুগ্ম সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন মামলা হয়েছে।
আলোকিত বার্তা:শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুগ্ম সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন মামলা হয়েছে।বুধবার(১৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-১ এর আদালতে এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন(মামলা নং -১২৭/২০১৯)।মামলার আসামিরা হলেন,আব্দুল খালেক (৫৩),অন্তর (৩৫),আবু বক্কর প্রধান(৪৫),রবিউল ইসলাম রবি(৩৮)ও মিল্টন(৪০)।থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল খালেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের (ইউপিইএইচডিপি) প্রকল্প পরিচালক(যুগ্ম সচিব)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,গত ২১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওই নারী চাকরির খোঁজে ঢাকার সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে একটি প্রতিষ্ঠানে আসেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত অন্তর ও আবু বক্করের সাথে দেখা হয়। তারা সিটি কর্পোরেশনে একটি ভালো চাকরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একজনবড় স্যারের’সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ওই নারীকে বংশালের সিদ্দিক বাজার এলাকায় এলাহি ভবনে নিয়ে যান।সেখানে যাওয়ার পর ভবনের ২য় তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তাকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করেন অন্তর ও আবু বক্কর।কিছুক্ষণ পরে ওই কক্ষে রবিউল ও মিল্টন এসে জানান,তাদের বড় স্যার আব্দুল খালেক আসতেছেন।তারা ওই নারীকে আব্দুল খালেকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন,স্যারকে খুশি করতে পারলেই তোর চাকরি হয়ে যাবে।একথা বলে তারা সাথে সাথেই রুম থেকে বেরিয়ে আসে।এরপর আব্দুল খালেক ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।এ সময় আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে ওই নারীকে চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মেরে চলে আসেন আব্দুল খালেক।এ বিষয়ে মুখ খুললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
ওই ঘটনার পর বংশাল থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।পরে আদালতে মামলা করেন তিনি।
বংশাল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি দায়েরের পর তদন্ত করার জন্য বংশাল থানাকে তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করছেন বংশাল থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন,আমি আজই হাতে মামলার নথি পেয়েছি।মামলার মূল অভিযুক্ত আব্দুল খালেকসহ অপরাপর আসামিদের কার কী পরিচয়, অভিযোগের ব্যাপারে কার কী ভূমিকা এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।মামলায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন,আমার বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ হয়েছে।বংশাল থানা ইনকুয়ারি(তদন্ত)করছে। আইনি নালিশ আমি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করবো।তিনি আরও বলেন,এতটুকু বলব,বাদীকে আমি চিনি না।কেনই বা আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বুঝতে পারছি না।