আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যা বলেন - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যা বলেন


আলোকিত বার্তা:রাজধানীসহ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,নামমাত্র টাকা ভাড়া দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ও আবাসিক হলে কারা থাকছে, কারা মাস্তানি করছে তা খতিয়ে দেখা হবে।বুধবার (৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে তা মনে করি না। তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চাইলে করতে পারে। এ নিয়ে সরকারের কিছু বলার নেই।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের সর্বাগ্রে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ছাত্র রাজনীতি করেই এতদূর এসেছি। যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে তারা ক্ষমতা উপভোগ করতে আসেন। তারা ছাত্র রাজনীতি পছন্দ করেন না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে হলেও এ নদীর বেশিরভাগ ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক নদী। আমরা সামান্য ১ দশমিক ১২ কিউসিক পানি দিচ্ছি ভারতকে। এ নিয়ে হইচই করার কী আছে?

বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক ও ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন সফলতা এবং অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতে গ্যাস রফতানির বিষয়ের প্রসঙ্গ তুলে যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা তরল গ্যাস বোতলজাত করে ত্রিপুরায় রফতানি করার পরিকল্পনা হয়েছে। এটি তো দেশের স্বার্থেই করা। ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তারা বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে বোতলজাত করছে।অন্যদিকে আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি থেকে কিছু তেল উৎপাদন হয়, যা থেকে অকটেন, পেট্রল এবং তরল গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে। এই তরল গ্যাসই রফতানি করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এখানে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নয়।ভারতের সঙ্গে ফেনী নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় যে পানি দেয়া হচ্ছে, তা হচ্ছে খাবার পানি। কেউ খাবার পানি চাইলে, তা যদি না দিই, তাহলে কেমন হয়!এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না।

তিনি বলেন,ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করতে পারে না। গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। কিন্তু বিএনপি গ্যাস বিক্রির চুক্তি করার পরই ক্ষমতায় আসে ওই সময়।এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে’ অংশ নিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লি সফর করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে তা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, দেশে উৎপাদিত বোতলজাত এলপিজি গ্যাস রফতানি করছে। যে বিএনপি-জামায়াত গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারা গ্যাস বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলে হইচই করছে।সম্প্রতি ভারত সফর উপলক্ষে বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারতে রফতানি করছে। এক সময় হাতে গোনা দু-একটি কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা করতো, বর্তমানে তা ওপেন করে দেয়ায় ২৬টি কোম্পানি প্রতিযোগিতামূলকভাবে ব্যবসা করছে। তাই ১০ থেকে ১২ কেজির সিলিন্ডার দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতো, সেখানে এখন ৯০০ টাকায় বিক্রি করছে।

এলপিজি গ্যাস বাংলাদেশের রফতানি আইটেমে নতুন যুক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিদেশ সফর থেকে ফিরে প্রতিবারই সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। প্রতিবারই সমসাময়িক রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্ক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বেশ কয়েক দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে’ অংশ নিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লি সফর করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকে তাদের সবগুলোকে বহিষ্কার করতে বলেছি। পুলিশকে বলেছি তাদের গ্রেফতার করতে। কাউকে ছাড় দেব না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই।’

বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশ্বাস দেন। নিউইয়র্ক ও ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন সফলতা এবং অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটের এ ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। এ ঘটনার আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে বলি। কিন্ত পুলিশ যখন সিসিটিভি ফুটেজ আনতে গেল তখন অনেকে বাধা দিল। আইজিপি আমাকে জানালো ফুটেজ আনতে দিচ্ছে না। তাদের আটকে রেখে দিয়েছিল। এ কাজে বাধা দিল কেন? পরে পুলিশ তিন ঘণ্টা পর ফুটেজ এনেছে। একটা কপি তাদেরকেও দিয়েছে।তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কে ছাত্রলীগ, কে ছাত্রদল এটা আমি বিবেচনা করব না। আমি বিবেচনা করব অন্যায়ভাবে একটা ছেলেকে মারা হয়েছে। তাকে ২১ বছর বয়সে হত্যা করা হয়েছে। এটা অমানবিক। ২০০১ সালে আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের মেরেছে। তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারা হতো। তাদের বাইরে তেমন আঘাত দেখা যেত না, কিন্তু শরীরের ভেতরে জখম হতো, তারা মারা যেত।শেখ হাসিনা বলেন,যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত, তাদেরকে মেনে নেব না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকে বলেছি তাদের সবগুলোকে বহিষ্কার করতে। পুলিশকে বলেছি তাদের গ্রেফতার করতে। কাউকে ছাড় দেব না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই। আমরা কারো নাম জানার অপেক্ষা করি নাই। তার আগেই আমি নির্দেশ দিয়েছি। গ্রেফতার শুরু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘যে মা-বাবা সন্তান হারিয়েছে তার কষ্টটা কী? আমি তো নিজে বাপ-মা-ভাই-বোন হারিয়েছি, আমি তা বুঝি। সাধারণ পরিবারের একটি ছেলে। তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে এভাবে মারা এ নৃশংসতা কেন? এ জঘন্য কাজ কেন? এদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবং যত ধরনের উচ্চ শাস্তি দেয়া যায় তা দেয়া হবে। কারণ আমি বিচার পাইনি। আমার মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি ৩৮ বছরেও বিচার পাইনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক হত্যা হয়েছে। টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে দুপক্ষের গুলিতে সানিকে হত্যা করা হয়েছে। ওই বুয়েটে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কেউ তাদের গ্রেফতার করেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিদিন বোমা, গুলি হতো, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। আমাদের অনেক শিক্ষক বন্ধু-বান্ধব ছিল তারা বলতো- এখন বোমা-গুলি অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে এটি বন্ধ করেছি। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়েছি।

রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিন দুপুর দেড়টার দিকে ঢামেক মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী, সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

সূত্র জানায়, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় হলের ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশাররফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আবরার হত্যার ঘটনায় গতকাল গ্রেফতার ১০ আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।এখন বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ১০ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।তিস্তার পানিবণ্টনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে পানি সমস্যার সমাধান করা হবে।বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্ক ও ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন সফলতা ও অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ফেনী নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘ত্রিপুরায় যে পানি দেয়া হচ্ছে, তা হচ্ছে খাবার পানি। কেউ খাবার পানি চাইলে, তা যদি না দিই, তাহলে কেমন হয়প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না।শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়। পরে তিনি নিজেই এর উত্তরে দিয়ে বলেন, ‘ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে হলেও এই নদীর বেশিরভাগ ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক নদী। আমরা সামান্য ১.১২ কিউসেক পানি দিচ্ছি ভারতকে। এ নিয়ে হইচই করার কী আছে?’তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক নদীগুলো খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। ভারত তাতে সহায়তা করবে। যৌথ নদীগুলোর সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি, কাজ চলছে।’এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট’-এ অংশ নিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লি সফর করেন শেখ হাসিনা। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

Top