তার মুক্তি হবে না।আদায় করতে হবে। - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তার মুক্তি হবে না।আদায় করতে হবে।


আলোকিত বার্তা:বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন,কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।তার মুক্তি আদায় করতে হবে।তাই এখন থেকে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দলের নেতারা রাজশাহী বিভাগের আট জেলার কর্মীদের আহ্বান জানান।বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও এর আয়োজন করা হয়।রবিবার বিকালে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পূর্বপাশের রাস্তায় পাঠানপাড়া এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন,বেগম খালেদা জিয়া এখন হেঁটে বাথরুমে যেতে পারেন না।বসে খেতে পারেন না।১৮ মাস ধরে তাকে টেলিভিশন দেখতে দেয়া হয় না।দুটো মাত্র পত্রিকা দেয়া হয়।কারো সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয় না।তার মুক্তি হবে না।আদায় করতে হবে।এ জন্য নেতাকর্মীদের তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন,তিনি তথ্য দিয়েছেন ক্যাসিনোর টাকা নাকি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে মাসিকভাবে যায়।কী চমৎকার আবিষ্কার আপনার!ক্রিয়েটিভ ইনফরমেশন মিনিস্টার,বলা যাবে।কারণ,এই তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আপনাদের মুখোশ জনগণের কাছে উন্মোচন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন,এক বছরে ২৭ হাজার কোটি টাকা পার হয়ে গেছে সুইজ ব্যাংকে। তার চেয়েও বড় অপরাধ আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে করা হয়েছে।মির্জা ফখরুল সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের দল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের একটা রাজনৈতিক দল।এর প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক। এই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আমরা। আমরা দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। আমরা জনগণকে তার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই। এ দেশের মালিক জনগণ! তুমি ভোটের অধিকার কেড়ে নেবে? এটা কি মামা বাড়ির আবদার? আমার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে বোকা বানিয়ে বাইরের দেশে পুরস্কার আর পুরস্কার নেবে? বাইরের পুরস্কার নিয়ে লাভ হবে না। দেশের মানুষের ভালোবাসা নেয়ার চেষ্টা করেন। সেটা সম্ভব হবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কামরুল মনির, হারুনার রশীদ খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, নাদিম মোস্তাফা মোরতাজুল করিম বাবলু, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চেয়ারপাসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। সমাবেশে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের রাজশাহী বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

Top