রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে
আলোকিত বার্তা:রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কয়েকটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে‘পরিস্থিতির ভয়াবহতা’অনুভব করার আহ্বান জানান৷
রোহিঙ্গারা বলছেন,শেখ হাসিনার প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মনের কথারই প্রতিফলন ঘটেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাবের বাস্তবায়ন করতে মিয়ানমারকে চাপে রাখতে বিশ্বনেতাদের ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
রোহিঙ্গা সংকটকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি উল্লেখ করে এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন।বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বাস করা রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ জার্মানিতে বসবাসরত নেই সান লুইন মনে করেন, শেখ হাসিনার প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মনের কথারই প্রতিফলন ঘটেছে৷
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন,মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বিচার,আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন৷ শেখ হাসিনা এর সবকটিই তার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।তবে,২০১৭ সালের আগস্টে সবশেষ সংকট শুরুর পর থেকে শেখ হাসিনা এ নিয়ে তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব দিলেন, এটিও মনে করিয়ে দেন নেই সান লুইন৷ তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা সবসময়ই তার প্রস্তাব শোনেন, কিন্তু কখনই মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে তাকে সাহায্য করেন না।
যুক্তরাজ্যের বার্মিজ রোহিঙ্গা অরগানাইজেশনের সভাপতি তুন খিনও একই রকম মনে করেন৷ তিনি মনে করেন,আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করছে না৷তিনি বলেন, প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা গত কয়েক বছরে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়েছে৷ কিন্তু এখনো রাখাইনে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাস করছেন৷ তারা গণহত্যার’ হুমকিতে রয়েছেন৷ মিয়ানমারকে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করতে হবে৷