টসঅ্যাপে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন
আলোকিত বার্তা:টসঅ্যাপে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।এছাড়া স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের শিলংয়ে। যারা দেশে অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দীর্ঘদিন অংশ নিচ্ছেন না,বার্ধক্যজনিত কারণে দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় তিনি।ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াও বেশ কিছুদিন ধরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন।ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আগে প্রেস ক্লাবভিত্তিক মানববন্ধন বা ঘরোয়া সভায় সক্রিয় ছিলেন।বেশ কিছুদিন ধরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মেজাজে পরিবর্তন ঘটেছে। নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক বা দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছাড়া আগের মতো তাকে আর দেখা যায় না। বার্ধক্যজনিত কারণে তার এ পরিবর্তন।
ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারেরও একই পরিস্থিতি। নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচিতে তেমন অংশ নেন না। লাঠির সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না বিজ্ঞ এ রাজনীতিক। অন্য সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিলেও অধিকাংশ সময় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। মাঝে মধ্যে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয়। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকেও চিকিৎসার জন্য বিদেশ ছুটতে হচ্ছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক সদস্যের দাবি,‘দলের স্থায়ী কমিটিসহ যেকোনো পর্যায়ের সদস্যপদ শূন্য রাখা বা অন্তর্ভুক্তি- সবকিছুর একক ক্ষমতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি যখন যা চাইবেন তখন সেটি হবে। এ নিয়ে অন্যরা চিন্তাভাবনা করতে পারেন, ক্ষেত্রবিশেষ মতামত বা অ্যাডভোকেসিও দিতে পারেন কিন্তু সিদ্ধান্তের ক্ষমতা একমাত্র তারেক রহমানের।’
স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ প্রসঙ্গে কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ভাষ্য, ‘শূন্যপদ পূরণের জন্য দলীয় ফোরামে বা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কোনো আওয়াজ পাচ্ছি না।তবে এটা তো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর নির্ভর করে। তিনি চাইলে যেকোনো সময় শূন্যপদ পূরণ করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন।