‘ক’তফসিল তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির বার্ষিক ভূমি উন্নয়ন কর বাড়ানো হচ্ছে।
আলোকিত বার্তা:‘ক’তফসিল তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির বার্ষিক ভূমি উন্নয়ন কর বাড়ানো হচ্ছে।উপজেলা পর্যায়ে এ সম্পত্তির ওপর আগের চেয়ে পাঁচ গুণ,সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ছয় গুণ এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাত গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।তবে এই হার শুধু‘ক’তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে বাড়বে।প্রায় ৩০ বছর পর এ কর বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হল।অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে শিগগির এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে। যাদের কাছে ক’ তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি লিজ বরাদ্দ হিসেবে দেয়া আছে তাদেরকে এই বর্ধিত কর পরিশোধ করতে হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সোমবার নিজ দফতরে বলেন,এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে শিগগির পরিপত্র জারি করা হবে।জানা গেছে, দেশে মোট অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ ৯ লাখ একর। এর মধ্যে ‘ক’ শ্রেণির মাত্র ২ লাখ একর। অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তি সংরক্ষণ, উন্নয়ন, ওই সম্পত্তি নিয়ে চলমান মামলা পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী, মাসিক বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য এ কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাব অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে প্রতি শতক কৃষিজমি উন্নয়ন কর ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হচ্ছে। এ হার পৌর এলাকায় ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হবে।প্রতি শতক অকৃষি জমির উন্নয়ন করের হার উপজেলায় ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা হবে। পৌর এলাকায় এ হার ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ বাড়ছে ১৬০ টাকা।
সিটি কর্পোরেশন এলাকায় (ঢাকার দুই সিটি ছাড়া) ৬৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৮৪ টাকা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বর্তমানে এ হার শতকপ্রতি মাত্র ৮০ টাকা। এই অঙ্ক বাড়িয়ে ৫৬০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রস্তাবিত পরিপত্রে শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত জমিতে উপজেলা পর্যায়ে প্রতি শতক জমির উন্নয়ন কর ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা, পৌর এলাকায় ৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, সিটি কর্পোরেশনে (ঢাকা ব্যতীত) ৮০ টাকা থেকে ৪৮০ টাকা এবং ঢাকার দুই সিটিতে ১০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আবাসিক ঘর ও কাঁচাঘর (মেঝে কাঁচা টিনের দেওয়াল এবং ছাদ) প্রতি বর্গফুটে উপজেলা এলাকায় এক টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা, পৌর এলাকায় ৩ টাকা থেকে ১৫ টাকা, ঢাকার দুই সিটি ব্যতীত অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৪ টাকা থেকে ২৯ টাকা এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা করার প্রস্তাব করেছে মন্ত্রণালয়।আবাসিক ঘর ও আধা-পাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেওয়াল পাকা, টিনের ছাদ) উপজেলায় বাড়বে প্রতি বর্গফুটে এক টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬ টাকা, পৌর এলাকায় ৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় (ঢাকা ব্যতীত) ৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৯ টাকা এবং ঢাকার দুই সিটিতে ৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৬ টাকা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আবাসিক ঘর ও পাকা ঘর (দালান) উপজেলায় বাড়বে ৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা, পৌর এলাকায় ৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা, ঢাকার দুই সিটি ব্যতীত অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৮ টাকা থেকে ৪৮ টাকা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে।শিল্প বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে (টিনের ঘর/কাঁচাঘর) উপজেলায় প্রতি বর্গফুটে ৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা, পৌর এলাকায় ৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা, সিটি কর্পোরেশনে (ঢাকা ছাড়া) ১৬ টাকা থেকে ৯৬ টাকা এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।শিল্প/বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে (আধা-পাকা ঘর/পাকা ঘর) উপজেলায় প্রতি বর্গফুটে ৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা, পৌর এলাকায় ১২ টাকা থেকে ৬০ টাকা, সিটি কর্পোরেশনে (ঢাকা ব্যতীত) ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা এবং ঢাকার দুই সিটিতে ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।