এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ চরম বেদনার।
আলোকিত বার্তা:দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ চরম বেদনার।ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতন হলে হয়তো এভাবে মূল্যবান প্রাণহানি ঘটতো না। মশা নিধনের ওষুধ কিংবা যন্ত্রপাতি ক্রয় থেকে শুরু করে সব কার্যক্রমে ন্যূনতম দুর্নীতি হোক -দুদক এটা প্রত্যাশা করে না।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় এডিস মশা নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মশা নিধনের ওষুধ ক্রয় কিংবা যন্ত্রপাতি ক্রয় থেকে শুরু করে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে ন্যূনতম দুর্নীতি হোক -এটা কমিশন প্রত্যাশা করে না। আমরা আশা করি, এসব কাজে কোনো দুর্নীতি সংঘটিত হবে না। কেউ অভিযোগও করবে না, এমনকি কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইনেও (১০৬) কেউ জানাবে না যে, দুর্নীতি হয়েছে। কারণ, মহামূল্যবান প্রাণ রক্ষার এ মহৎ কাজ দুর্নীতির মতো জঘন্য অপরাধে কলঙ্কিত হোক দেশের কোনো বিবেকবান মানুষ তা প্রত্যাশা করে না। দুদকও তেমনটা আশঙ্কা করে না।তিনি বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক তথা সার্বিকভাবে নগরের পরিচ্ছন্নতা বিকশিত হয়। সিটি কর্পোরেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, এবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এনফোর্সমেন্ট নতুন সংযোজন।
তিনি বলেন, এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত অভিযানে অফিসার্স ক্লাব, বাংলাদেশ স্কাউটস সার্বিকভাবে পাশে থাকবে। দুর্নীতি দমন কমিশন ২৫টি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনিয়ম ও হয়রানি প্রতিরোধে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার মানে এই নয় যে, ২৬ নং টিম গঠন করে অন্য কোনো সংস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধে এ জাতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না। প্রয়োজন হলে এ জাতীয় আরও প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করা হবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন নয়, দুদকের নজরদারি রয়েছে সর্বত্রই। দুদক এখন সর্বোচ্চ সক্রিয়। আগে যারা দুদককে দন্তহীন বাঘ বলতেন, তারা এখন আর এভাবে ভাবেন না। কারণ, কমিশনে বর্তমানে চলমান বহুমাত্রিক কার্যক্রমকে তারা অনুধাবন করছেন। দুদক দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে নিরন্তর চেষ্টা করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধনকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দুদক কমিশনার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। বিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখে দুদক কমিশনার অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এরপর পর্যায়ক্রমে বিয়াম স্কুল ও ঢাকা কলেজে মশক নিধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তিনি।তার সঙ্গে অন্যদের মাঝে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনসার আলী খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।