দেশেরসংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি
আলোকিত বার্তা:দেশেরসংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।তিনি বলেন,সংখ্যালঘুদের প্রাপ্যতা দেখাশুনার জন্য সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় বা কমিশন থাকতে পারে।যাতে তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার পেতে পারে,আমরা এটাকে সমর্থন করি।সরকারের উচিত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা।শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শ্রৗ কৃঞ্চের জন্মাদিন উপলক্ষে শ্রীকৃঞ্চ সেবা সংঘ আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ শীর্ষক’আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি নকুল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি,জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সোমনাথ দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, ৫৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, সাংবাদিক সুজন দে, অধ্যক্ষ এনএস রায় সমর, ইঞ্জিনিয়ার সহদেব চন্দ্র বৈদ্য, ডি. কে সমির ও নির্মল খাসখেল।জিএম কাদের বলেন,স্বাধীনতার এতো বছর পরে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রশ্ন উঠছে এটা বড়ই লজ্জার। যদিও আমি সংখ্যালঘু শব্দটা থাকার পক্ষে নই। আমরা সবাই বাংলাদেশী এটা আমাদের সবার পরিচয়।
তিনি বলেন,বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা অনেকটা কমেছে। আমাদের এই সম্প্রীতির ইতিহাস হাজার বছর ধরে চলে আসছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ সম্প্রীতির পক্ষে। আর ৫ শতাংশ মানুষ হয়তো এর বিরুদ্ধে থাকতে পারে। এরা সমাজের মঙ্গল চায় না।নরেন্দ্র মোদি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ টেনে সঠিক কথাই বলেছেন। আমাদের দেশে একই চত্বরে পাশাপাশি মসজিদ মন্দির রয়েছে। একই সময়ে নামাজ ও পূজা চলে। এমন উদাহরণ খুব কমই পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন কাদের।জিএম কাদের বলেন, আমাদের দেশের মানুষ ধার্মিক তবে গোড়া না। আমি মনে করি যে যতো ধার্মিক তাকে ততো অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। ধর্মগুলো সৃষ্টিই হয়েছে সমাজে শান্তির জন্য। সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা হয়েছে।তিনি বলেন,আমাদের জনপ্রিয় দলগুলো কোনোটাই কিন্তু সাম্প্রদায়িক নয়। তবে এদের ভেতরে ঢুকে কিছু লোক এটা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা -৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন,কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু।ভারত তার সংবিধান কাটবে না,জোড়া লাগাবে এটা তাদের বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের মাথা না ঘামানোই ভালো। আমাদের মাথা ঘামাতে হবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে।শত্রু সম্পতি আইন বাতিলের জন্য সোচ্চার থাকার জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুরোধ জানান কাজী ফিরোজ রশীদ।শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘের আহ্বায়ক নকুল চন্দ্র বলেন,প্রিয়া সাহা আমেরিকায় গিয়ে যে কথা বলেছেন। সেই বক্তব্য তার ব্যক্তিগত,এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের বক্তব্য নয়। এই বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই।সরকার যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন এরজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।সভা পরিচালনা করেন শ্রী কৃঞ্চ সেবা সংঘের সদস্য সচিব ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে।