শক্ত অবস্থানে যাবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরাতে
আলোকিত বার্তা:রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করা মিয়ানমারের দায়িত্ব। আর এ সংকটের দায় এড়াতে পারে না জাতিসংঘও।শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শোক দিবসের এক আলোচনা সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন,বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সবকিছু করেছে। আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া দরকার। এটা মিয়ানমারকে বুঝতে হবে। রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করা মিয়ানমারের দায়িত্ব। মিয়ানমারকে তাদের দাবির বিষয়ে সংবেদনশীল হতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের ভূমিকার সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন ও বিদ্বেষের বিষয়ে জানার পরও জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এর দায়ভার জাতিসংঘও এড়াতে পারে না।ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা একটু শক্ত হবো। চিন্তা-ভাবনা করছি আমরা একটা ইন্টারন্যাশনাল কমিশন জোগাড় করব, যারা রাখাইনে নট ইন বাংলাদেশ। ইউএনএইচসিআর, আইওএম যারা আছে তাদেরও আমরা বলছি তোমরা আমাদের এখানে থেকে লাভ নেই। তোমরা বরং রাখাইনে যাও, মিয়ানমারে যাও রোহিঙ্গাদের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করো। তোমাদের বড় দায়িত্ব ওখানে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয়রত রোহিঙ্গারা কেউ শর্তহীনভাবে মিয়ানমারে ফিরতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দ্বিতীয়বারের আটকে যায় প্রত্যাশিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরও কোনো রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে ট্রানজিট ক্যাম্পে আসেনি। ফলে হতাশার মধ্যেই দিনটি পার করতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়াকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়ার জন্য যারা প্ররোচনা দিয়েছে, যারা ইংরেজিতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড লিখে সাপ্লাই দিয়েছে এবং যেসব এনজিও না যাওয়ার জন্য তাদের আহ্বান জানিয়েছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তারা যেটা করছে, এটা ঠিক নয়।