বেহাত হওয়া এসব জমি দীর্ঘদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেহাত হওয়া এসব জমি দীর্ঘদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ


আলোকিত বার্তা:বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডকে (মিল্ক ভিটা) গো-চারণের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাঁচ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। পাবনা ও সিরাজগঞ্জে এসব জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তবে এর মধ্যে চার হাজার একর জমি বেহাত হয়ে গেছে। বেহাত হওয়া এসব জমি দীর্ঘদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং জিল্লুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।সম্প্রতি বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে সিসার উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের পাস্তুরিত দুধে সহনীয় মাত্রার চেয়ে কম সিসা রয়েছে। এ সময় মিল্ক ভিটা কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিল্ক ভিটাকে পাঁচ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। বেহাত হতে হতে এখন মিল্ক ভিটার হাতে এক হাজার একরের মতো জমি আছে।তিনি বলেন, মিল্ক ভিটার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে অসাধু লোকজন জমি বরাদ্দ দিয়ে দখল করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জমি দখল করেছে। এসব জমি উদ্ধারে মিল্ক ভিটা কখনও আইনি লড়াইয়ে যায়নি। কমিটি এ জমি উদ্ধারে মিল্ক ভিটাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

মিল্ক ভিটার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে এসব জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এ দুই জেলার প্রায় সাড়ে ৫০০ সমিতির ২৫ হাজার খামারি মিল্ক ভিটায় দুধ সরবরাহ করেন।আ স ম ফিরোজ বলেন, মিল্ক ভিটার দুধে যে পরিমাণ সিসা পাওয়া গেছে তা পানি থেকে গবাদি পশুর শরীরে যায়। আমরা এ বিষয়ে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার সুপারিশ করেছি।

Top