নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলতে এবং বাসার আশেপাশে পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে সবার প্রতি আহ্বান
আলোকিত বার্তা:কোরবানির পশুর বর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে।তাই সবাই নিজ দায়িত্বে নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলতে এবং বাসার আশেপাশে পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।তিনি বলেন,ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল প্রতি তাগিদ দিয়েছেন।সোমবার (১২ আগস্ট) বঙ্গভবনে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন,কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
কোরবানির আনন্দকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যক্তি,সমাজ ও জাতীয় জীবনে এর প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি নিজের আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।এর আগে ঈদ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। স্ত্রী রাশিদা খানম এবং পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন,ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার,প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম,মশিউর রহমান এসেছিলেন বঙ্গভবনে।সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ,নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী,পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ বেসামরিক-সামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার,ভারতের হাই-কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস,বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। এছাড়া সংসদ সদস্য,রাজনীতিবিদ,বিচারপতি,শিক্ষাবিদ,কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি,ধর্মীয় নেতারাও শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।