পদত্যাগ দাবি কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর
আলোকিত বার্তা:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের লোকজন একদিকে লুটপাট করে অর্থনীতি ফোকলা করে দিচ্ছে, অন্যদিকে অভাবের তাড়নায় হতদরিদ্র মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, অভাবের তাড়নায় যশোরের শার্শা উপজেলার চালিতাবাড়িয়া দীঘা গ্রামে রবিবার রাতে দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর এক মা আত্মহত্যা করেছেন। তিনদিন আগে শনিবার অভাবের কাছে হার মেনে নরসিংদীতে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন এক বাবা।তিনি বলেন, অভাবে জর্জরিত হয়ে এক সপ্তাহে নয়জনের আত্মহত্যা বা অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আর পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে সরকারি দলের নেতাকর্মীসহ অন্তত ছয় লাখ লোক বিদেশে যাচ্ছে ঈদ করতে। যেখানে আগে ঈদ করতে মানুষ যেতো গ্রামের বাড়িতে। দেশে সম্পদ বণ্টনের এই অসাম্য এবং দুর্নীতি করার অবারিত ব্যবস্থার জন্য দেশে এক লুটেরা গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলায় দেবখন্ড গ্রামে অল্প জমির মালিক মরিয়ম বেগম তার ক্ষেতের ধান হাটে বিক্রি করে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিতে ব্যর্থ হয়ে নিজের টেলিভিশন বিক্রি করে মজুরি পরিশোধ করে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ধান পুড়িয়ে দেয়ার একই রকম দৃশ্য সারাদেশেই সংঘটিত হচ্ছে।রিজভী বলেন, সরকারি নীতির কারণে ক্ষুধা, হাহাকার, অনাহার ও অর্ধাহারে মানুষের জীবন বিপন্ন ও কৃষককে ধ্বংস করতে কৃষিক্ষেত্রে এই অরাজকতার জন্য দায়ী কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর এই মূহুর্তে পদত্যাগ দাবি করছি আমরা।আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী বলেন,নাসিমসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী-নেতার কথাবার্তায় মনে হয় তারা নিজেদের পদ খুইয়ে হতাশায় ভুগছেন। শুধুই বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। আমার মনে হয় তারা মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিএনপির কনসালটেন্ট হতে চাচ্ছেন। নিজেদের দলের নেতা-কর্মীরা সারাদেশে লুটপাট, খুন-ধর্ষণ, খাদ্যে ভেজাল ও মাদক ব্যবসায়ে লিপ্ত। এমনকি তাদের কিছু জনপ্রতিনিধিও আছেন যারা মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মিডনাইটে ভোট ডাকাতির অন্যতম কারিগর নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদকে রবিবার পুরস্কৃত করেছে মিডনাইট সরকার। তাকে পদায়ন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর নির্বাচন কমিশনের সচিব করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব আলমগীর হোসেনকে। যিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুগত ও বিশ্বস্ত হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি অর্জন করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহিদা রফিক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী শপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।