আরো ৫ বছর দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ছে - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরো ৫ বছর দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ছে


আলোকিত বার্তা:দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ছে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।চলতি বছরের এপ্রিলে আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই আইনে অনেক স্পর্শকাতর মামলা থাকায় আইনটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে পাঁচ বছর।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এই আইনের একটা মেয়াদ থাকে, যা এপ্রিলে শেষ হয়ে গেছে। আরো পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইনটি চলবে।২০০২ সালের মূল আইনে ১৭ বছর মেয়াদ রাখার কথা বলা হলেও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করে ২০২২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখনো কার্যকারিতা আছে, অনেক স্পর্শকাতর মামলা আছে যেগুলো দ্রুত বিচার হওয়া দরকার।সবশেষ ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আইনটির মেয়াদ পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কোনো ব্যক্তি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ করলে সর্বনিম্ন সাজা দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ছিল।

২০১৭ সালের ৫ জুন সংশোধনী এনে সর্বোচ্চ সাজা দুই বছর বাড়ানো হয়। অর্থাৎ অনূন্য দুই বছর এবং অনধিক সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সংশোধনী আনা হয়।চাঁদাবাজি,যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষা এবং ছিনতাই, ত্রাস, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো অপরাধের বিচারের জন্য আইনটি করা হয়েছিল।২০০৪, ২০০৬, ২০১২ সালে এ আইনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গত ৭ এপ্রিল শেষ হয়।বারবার কেন এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখনও এটার কার্যকারিতা রয়েছে। অনেক স্পর্শকাতর মামলা আছে যেগুলোর দ্রুত বিচার হওয়ার দরকার।এছাড়া একই বৈঠকে কাস্টমস আইন, ২০১৯-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি ১৯৭৯ সালের আইন। এটি ২০১৮ সালে সংসদে দিয়েছিল সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। কিন্তু ওখানে পাস হওয়ার আগেই সংসদ শেষ হয়ে যায়। এজন্য ওটা বাতিল হয়ে যায়। একই আইন আবার নতুনভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে নতুন কিছু নেই। ২০১৮ সালে যেটা চূড়ান্ত করা হয়েছে সেটা আবার নতুনভাবে উত্থাপিত হয়েছে ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Top